মুসলিম নেতাদের ১৫ দিনের আল্টিমেটাম ফ্রান্সের

ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ দেশটির মুসলিম নেতাদের চরমপন্থাকে শক্তহাতে দমন করে রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধকে ধারণ করতে বলেছেন। এ জন্য তিনি মুসলিম নেতাদের ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেন। খবর বিবিসির।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) ফ্রেঞ্চ কাউন্সিল অব দ্যা মুসলিম ফেইথের (সিএফসিএম) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ আল্টিমেটাম দেন তিনি।

সিএফসিএম নেতারা ফরাসি সরকারের এ নির্দেশনার বিষয়ে মুসল্লিদের সতর্ক করতে মসজিদের ইমামদের নিয়ে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইমাম নামে একটি কমিটি গঠন করতে যাচ্ছেন।

গত এক মাসের মধ্যে দেশটিতে তিনটি সন্ত্রাসী হামলার পর ফরাসি সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  

এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আরও বলেছেন, ইসলাম একটি ধর্ম, এটি কোন রাজনৈতিক প্লাটফর্ম না। ইসলামের নামে এখানে বাইরের কোন দেশের স্বার্থ চরিতার্থ করা যাবে না।

স্থানীয় সময় বুধবার রাতে সিএফসিএমের ৮ মুসলিম নেতার সঙ্গে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও দেশটির স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন বৈঠক করেন।

বৈঠকের ব্যাপারে দেশটির ল্যা পারিসিন নামে পত্রিকার খবরে বলা হয়, ফরাসি মুসলিমদের কোনো ভাবেই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা যাবে না এবং বিদেশিদের প্ররোচনায় পরা যাবে না। বৈঠকে ইমামদের নিয়ে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করারও সিদ্ধান্ত হয়।

সম্প্রতি খুন হওয়া ফরাসি শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে সম্মান জানাতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ম্যাক্রোঁ বলেন, ইসলাম ধর্ম ও বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শন বন্ধ করা হবে না। এরপরই ফ্রান্সের মুসলিমরা ম্যাক্রোঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন, তাদের ধর্মকে দমন করা ও ইসলামফোবিয়াকে বৈধতা দিতে চেষ্টা করছেন তিনি।   

ম্যাঁক্রোর এমন বিতর্কিত মন্তব্যের পরই তুরস্ক এবং পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি আরব দেশ নিন্দা জানিয়েছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা দরকার।  

জবাবে মুসলিম বিশ্ব থেকে ফরাসি পণ্য বয়কটের ডাক আসে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানসহ অনেক মুসলিম নেতা ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের আহ্বান জানান। এর পর থেকে পুরো মুসলিম বিশ্বেই ফরাসি পণ্য বয়কটের হিড়িক পড়ে গেছে।