ঢাবির ইভিনিং ভর্তি পরীক্ষা আজ, জানেন না ভিসি প্রোভিসি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

করোনাভাইরাসের কারণে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো বন্ধ রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও। তবে এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ শুক্রবার (২০ নভেম্বর) আয়োজন করা হচ্ছে একটি ভর্তি পরীক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের এমবিএ (ইভিনিং) কোর্সের জন্য এ ভর্তি পরীক্ষা নিতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। অথচ এ সংক্রান্ত নীতিমালাও এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘন্টাব্যাপী পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হবে। তবে এ বিষয়ে অবগত করা হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানকে। আজ রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন। এছাড়া প্রো-ভিসিও জানেন না বলে জানা গেছে। অথচ করোনার কারণে চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাও বাতিল করে দেয়া হয়েছে।

অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার (২০ নভেম্বর) বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের এমবিএ (ইভিনিং) প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে সকাল ১১টা–দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করতে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই এ ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে অধ্যাপক আব্দুল মঈনের নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। মেসেজ করলেও তারও জবাব দেননি তিনি।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান এ বিষয়ে অবগত নন বলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ডিনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছেন। ক্যাম্পাসে পরীক্ষা না থাকায় তিনি বিষয়টি জানেন বলে জানিয়েছেন।

এদিকে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্য কোর্সে ভর্তি-কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল। কিন্তু নীতিমালা হওয়ার আগেই কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে সান্ধ্য এ ভর্তি পরীক্ষা নিতে যাচ্ছে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ।

এ বিষয়ে প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল গণমাধ্যমকে বলেছেন, সান্ধ্য কোর্সের নীতিমালার কাজ শেষ হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া এ পরীক্ষার কোনো বৈধতা নেই বলেও তিনি জানান।

জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের নয়টি বিভাগেই সান্ধ্য কোর্স আছে। কোর্সগুলোতে প্রতিবছর ৪৫টি ব্যাচে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হন। এছাড়া ক্লাস নেন প্রায় ২৩০ জন শিক্ষক। এই কোর্স নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সমালোচনা চলছে নানা মহলে। এর বিরুদ্ধে আন্দোলনও হয়েছে।