দয়িতা

মারুফ আহমেদ
মারুফ আহমেদ

বেঁচে আছি কি নেই শোন: সে আলাপ পরে হবে
শেষ বিকেলের ছায়ে আপাতত চলো
ওই দিকটায় গিয়ে বসা যাক।

তারপর! কেমন আছো? বললাম আমি
শ্রাবস্তীর ঢল নামা চিবুক ততক্ষনে জেগে উঠলো;
পৃথিবীর সমস্ত সৌন্দর্যের প্রমত্ততায় একমুহুর্ত অন্ধ হয়ে গেলাম আমি: হিমালয়ের শুভ্রতার আলোক ছড়িয়ে সে শুধু তাকাল একটুকুন
প্রকৃতির এই মেঘরাজ্যে পাহাড়ী কুসুমগুলো যেন তার কপালে চুমু খেয়ে গেল এক, দুই, তিন, তারপর অনেকগুলো;

আমি স্পষ্টত দেখতে পেলাম:
একটা নীল ময়ূর পীনন জড়িয়ে বসে শুধু, চুলগুলো শ্রীময়ীর কোমড় জড়িয়ে উড়ছে ছড়িয়ে আমার বুকে, কাঁধে, চোখে।
আচমকা একটা নীলকন্ঠ আমাদের ছেড়ে
উড়ে যাওয়ায় যেন প্রান ফিরলো আমার

তারপর বললাম-
শাড়ির আঁচল ফেরি করে কবিতা লিখছি
দয়িতার একমুঠো হাসি কল্পনায় এঁকে; এই যে পাহাড়ী হৃদয় দেখছো? এখানে

বুড়ো ব্রহ্মপুত্র হয়ে ক্রমশ ছুটছি এক পেয়ালা
মেঘের মতোন এদিক-সেদিক আর-
ও কিছু নয়! চলো বাড়ির পথে ফেরা যাক।

লেখক শিক্ষার্থী, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়