তর সইছে না— সাকিবের ফেরা নিয়ে মুশফিকের আবেগি স্ট্যাটাস

মুশফিক ও সাকিব
মুশফিক ও সাকিব

আন্তর্জাতিক সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দীর্ঘ এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পেরিয়ে গেল বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আজ বৃহস্পতিবার তিনি এই নির্বাসন মুক্ত হন। আবার ক্রিকেট মাঠে তাঁকে দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন তার সতীর্থ থেকে ভক্তরা। তবে নিষেধাজ্ঞা শেষে তার মুক্তির দিনে তাকে কাছে পাচ্ছেন না দলের অন্যান্য সতীর্থরা। তিনি বর্তমানে পরিবারের সাথে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত।

গত বছর ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে ক্রিকেটারদের ধর্মঘট থেকে মুক্ত হওয়া ক্রিকেটাঙ্গন জানতে পারল, জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করার অপরাধে নিষিদ্ধ হয়েছেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

যদিও এই সমটাতেই তিনি শ্রীলঙ্কায় থাকার কথা ছিল। পরে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বাতিল হয়ে গেলে পরে আবার যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান এই অলরাউন্ডার। তবে নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় আগামী নভেম্বরের শুরুতে দেশে ফিরতে পারেন সাকিব। তাই ১৫ নভেম্বর টি-২০ টুর্নামেন্ট দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাবনা সাকিবের।

এদিকে তার প্রত্যাবর্তন নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম। বুধবার নিজের ফেসবুক থেকে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা এক সঙ্গে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম কৈশোরে। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। গত বছর যখন জানলাম আমরা এক বছর ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করতে পারব না, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় ধাক্কা ছিল। আমাদের কত স্মরণীয় স্মৃতি জমা আছে, আমরা ভালো সময়গুলো এক সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিই। আবার কঠিন সময়ে এক অপরের পাশে দাঁড়াই।’

মুশফিক আরও লিখেছেন, ‘খুব ভালো লাগছে একটা বছর শেষ হয়েছে। আবার আমরা এক সঙ্গে মাঠে নামব। তুমি সব সময়ই চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরেছ। তোমার সঙ্গে আরও ম্যাচজয়ী জুটি গড়া আর জাতিকে আরও আনন্দের উপলক্ষ এনে দিতে তর সইছে না!’

গত বছরের ২৮ অক্টোবর ফিক্সিংজনিত ইস্যুতে নিষিদ্ধ সাকিবকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আইসিসি। তবে আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে তাদের তদন্ত কাজে যথাযথ সহযোগিতা করায় সাকিবের শাস্তি এক বছর স্থগিত করা হয়।

নিষেধাজ্ঞার এ সময়টাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবমিলিয়ে ১৪টি ম্যাচ খেলতে পারেননি সাকিব। যেখানে ছিল ৪ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ৭ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এই মিস করা ম্যাচের সংখ্যা হতো অন্তত ত্রিশ। তবে করোনাভাইরাসের কারণে বাতিল ও স্থগিত হয়েছে অনেক সিরিজ। ফলে ১৪টির বেশি ম্যাচ মিস করতে হয়নি তাকে।

আর এখন থেকে বাংলাদেশ দল যত ম্যাচ খেলবে, সবগুলোতেই থাকতে পারবেন সাকিব। শুধু আন্তর্জাতিক নয়, যেকোনো ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলতে পারবেন তিনি। যার শুরুটা হয়তো হতে পারে, আগামী মাসের ১৫ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া বিসিবি পরিকল্পিত পাঁচ দলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিয়ে।