‘প্রত্যেকের এমন কেউ থাকা দরকার, যে মনের কথা শুনবে’

বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. মেহতাব খানম বলেছেন, করোনার কারণে আত্মহত্যা, সংঘাত, পারিবারিক কলহ, চুরি, ধর্ষণ প্রভৃতি অপরাধ বেড়েছে। মানুষ আবদ্ধ হয়ে থাকলে, কাজ না থাকলে, বিরক্ত হয়ে গেলে, আয় না থাকলে, এক সাথে থাকতে গেলে এরকম ক্রাইসিসের মধ্যে দিয়ে আমাদের যেতে হয়। এর মধ্য দিয়ে যেতে গেলে আমাদের ভেতরের নেতিবাচক অনুভূতিগুলো বের হয়ে আসে। হোমিসাইড বা সুইসাইড যাই বলি না কেন এটাই হচ্ছে রেজাল্ট।

আজ বুধবার (২৮ অক্টোবর) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন অধ্যাপক ড. মেহতাব খানম। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে এই কথা বলেন তিনি।

অধ্যাপক ড. মেহতাব খানম বলেন, একটা হলো বাইরের প্রভাবে আমরা এমনটাই করি। আর অপরটি হলো আমাদের ব্যক্তিত্বে গঠনটা কি রকম? ছোটবেলা থেকে আমরা যথেষ্ট আদর-ভালোবাসা পেয়ে বড় হয়েছি কিনা বা আমাদের বাবা-মায়ের সাথে আমাদের বোঝাপড়াটা ভালো ছিলো কিনা? আমাকে পরিবার বুঝতো কিনা সেটা বড় বিষয়।

তিনি বলেন, বাবা-মায়ের সাথে যাদের সম্পর্ক দৃঢ় থাকে তারা মানসিকভাবে অতটা অস্থির হয়ে যায় না। ওদের আগে থেকেই বন্ধনটা ভালো থাকে। বিপদে পড়লে পরিবারের কাউকে না কাউকে তারা অবগত করে। এমন কেউ থাকা দরকার যে তার মনের কথাটা শোনে। তাকে বুঝতে পারে। তবে আমি কেবল পরিবারগুলোকেই দোষ দিতে পারি না। কারণ অনেকক্ষেত্রে পরিবার তাদের সম্পর্কে জানে না। পরিবারকে কেউ শেখায় নি। তাদেরকে দোষারোপ করা যাবে না। এমনি এমনি একটা বাচ্চার মন বোঝা সহজ নয়। আমাদের মানসিক গঠনেই মূল সমস্যা দেখতে পাচ্ছি আমি।