রিফাত হত্যায় অপ্রাপ্তবয়স্ক ১১ আসামির সাজা

রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে
বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যার দৃশ্য

বরগুনায় বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিচারের রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জনের ১০ বছর, ৪ জনের ৫ বছর ও ১ জনের তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় ৩ জনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বরগুনা শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়।

আসামিদের পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১৪ অক্টোবর এই দিন ধার্য করেন আদালত। এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বরগুনার শিশু আদালতের পিপি মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এই মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিচারের রায় ঘোষণা করেন বরগুনা জেলা দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান। ১০ আসামির মধ্যে নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকাসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৪ আসামির মধ্যে রিশান ফরাজীসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ৩০২ এবং ৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি আরিয়ান হোসেন শ্রাবণের বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্র, সহযোগিতা এবং আসামিদের পালাতে সহায়তার অভিযোগে ৩০২ এবং ১২০ (বি) ১ এবং ২১২ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা থানায় ১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা ছিলেন এ মামলার প্রধান সাক্ষী। মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড ওই বছরের ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

পরে ১ সেপ্টেম্বর মামলায় ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুভাগে বিভক্ত করে আদালতে পৃথক অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। গত ৮ জানুয়ারি বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ১৩ জানুয়ারি অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। ১৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে ৭৪ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হওয়ার পর পক্ষে-বিপক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।