ইরফানের ব্যক্তিগত সহকারী এবি সিদ্দিক গ্রেপ্তার

ইরফান সেলিম
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার ইরফান সেলিম

নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট পদবিধারী এক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে করা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের ব্যক্তিগত সহকারী এবি সিদ্দিক দীপুকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া দীপু মামলার এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি। আজ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) ভোরে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।

এদিকে গতকাল গ্রেপ্তারের পর ইরফান সেলিমকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ইরফান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ভ্রাম্যমাণ আদালতে শাস্তি হওয়ায় তিনি পদে থাকতে পারবেন কিনা- তা খতিয়ে দেখবে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তার বিরুদ্ধে আনা ফৌজদারি অপরাধ প্রমাণ হলে আর পদে থাকতে পারবেন না বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ অনুসারে, নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হলে তিনি অপসারণযোগ্য হবেন। আইনে আরো বলা হয়েছে, অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে তার পদ থাকবে না। তিনি নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর করে মূলত ফৌজদারি অপরাধ করেছেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ফলে তার পদে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ অনুযায়ী আদালত কর্তৃক শাস্তিপ্রাপ্ত মেয়র বা কাউন্সিলর তার পদে থাকতে পারেন না। এখন ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায়ের কপি হাতে পেলে ইরফানকে বরখাস্তের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

স্থানীয় সরকার বিভাগের অপর এক কর্মকর্তা বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়টি সরকার সহ্য করবে না। ইরফান নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মাধ্যমে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। আদালতে বিষয়টি প্রমাণিত হলেই তাকে কাউন্সিলর পদ হারাতে হবে বলে তিনি জানান।

গত রবিবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছিল হাজী সেলিমের স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি। এর পর ওই গাড়ি থেকে কয়েক ব্যক্তি নেমে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নামের ওই কর্মকর্তাকে মারধর করেন। গাড়িতে ছিলেন হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম। এ ঘটনায় সোমবার ভোরে মামলা হলে বিকেলে অভিযান চালিয়ে ইরফান ও তার দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

পরে তাদের র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদক ও অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। র‌্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ছয় মাস ও অবৈধ মাদক রাখার দায়ে ছয় মাস করে মোট এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে দুজনকে।