প্রেমের সম্পর্ক না মানায় আত্মহত্যা করেন রুম্পা

ঢাবি ছাত্রী

প্রমের সম্পর্ক না মানায় আত্মহত্যা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফারিহা তাবাসসুম রুম্পা। সহপাঠী সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। রুম্পা শামসুননাহার হলের শিক্ষার্থী ছিলেন।

জানা যায়, তার বাড়ি ইশ্বরদী,পাবনায়। তার বাবার নাম ফরিদ উদ্দিন মন্ডল। তিনি পেশায় একজন সরকারী চাকুরীজীবী।

বিভাগের শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, ফারিহা তাবাসসুম রুম্পা খুবই মার্জিত, মেধাবী ও ধার্মিক ছিলেন ৷ তার একটি ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু পরিবার তা মেনে নেয়নি। যার ফলে তিনি এ পথ বেঁচে নিয়েছেন।

এ বিষয়ে তার বিভাগের শিক্ষার্থী হাসনাত আবদুল্লাহ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা চার বছর ধরে রুম্পার সাথে ক্লাস করেছি কিন্তু কোনদিন তার চেহেরা দেখিনি। সে ভদ্র এবং প্রচন্ড ধার্মিক ছিলো। তার আত্মহত্যার বিষয়টি যখন ছবি দিয়ে আমাদের গ্রুপে শেয়ার করা হয় তখন আমরা কনফিউজড ছিলাম এটি রুম্পা কিনা। কারণ, আমরা কখনো তাকে দেখিনি।

এসময় তিনি আরো বলেন, রুম্পার সাথে একটি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তার পরিবার তা মনে না নেওয়ার কারণে সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার ভাই প্রচন্ডরকমের বদমেজাজী। কিছুক্ষণ আগে আমার এক বন্ধু জানালো যে করলো যে গত শুক্রবার তার ভাই জোর করে তাকে বিয়ে দিয়েছিলো। যার কারণে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, এটি একটি হৃদয় ঘঠিত ব্যাপার বলে জানতে পেরেছি। যা তার পরিবার মনে নেয়নি। জোর করে অন্য জায়গায় ব্যবস্থা করেছিলো বলে বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছে।