সুনামগঞ্জ সদরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে সমাবেশ

সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ জেলাটির সদর উপজেলায় স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। আজ রবিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে সুনামগঞ্জবাসীর ব্যানারে জেলা শহরের আলফাত স্কয়ারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শান্তিগঞ্জে স্থাপনের কথা রয়েছে।

সমাবেশে সুনামগঞ্জ-৪ আসনের (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) সাংসদ ও বিরোধীদলীয় হুইপ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনামগঞ্জের হাওর অঞ্চলের মানুষকে ভালোবেসে এ বিশ্ববিদ্যালয় উপহার দিয়েছেন। এটি কোনো মন্ত্রী বা এমপির দান নয়। এখন এ বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সদর উপজেলার সঙ্গে সব উপজেলার ভালো যোগাযোগ রয়েছে। এ জেলার সব উপজেলার মানুষের প্রাণের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়টি সদর উপজেলায় হোক। এ দাবিতে আজ সুনামগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ একাত্ম।

সমাবেশে সুনামগঞ্জ-৩ আসনের (দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুর) সাংসদ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি শুধু শান্তিগঞ্জের বা সুনামগঞ্জের নন, সারা দেশের মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে সম্মান দিয়েছেন, আমরাও সম্মান করি। তাই বলে আপনি সবকিছু শান্তিগঞ্জে করবেন, এটা দুঃখজনক। আমরা কোনো এলাকার উন্নয়নের বিরোধী নই। এর আগে সদর উপজেলার সীমানায় মেডিকেল কলেজ স্থাপনের কাজ হলেও আসলে এটিও শান্তিগঞ্জেই হচ্ছে। আরও অনেক প্রতিষ্ঠান আপনি শান্তিগঞ্জে করছেন। এভাবে একের পর এক প্রতিষ্ঠান শান্তিগঞ্জের দুই কিলোমিটারের মধ্যে হলে একসময় সুনামগঞ্জ জেলা শহর অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।

প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি আরও বলেন, আপনি আমাদের আস্থা ও শেষ ভরসাস্থল। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় এ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিষয়ে জেলাবাসী আপনার হস্তক্ষেপ চায়। বিলটিতে সংশোধনী এনে যাতে সদর উপজেলায় বিশ্ববিদ্যালয়টি হয়, আপনার কাছে সুনামগঞ্জবাসীর এটিই জোর দাবি।

সমাবেশে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রহমান, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) সাইফুর রহমান, জেলা জাতীয় পার্টির নেতা মনির উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুবের আহমদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

গত ২ মার্চ ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ বিল মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন লাভ করে। এরপর এটি ৭ সেপ্টেম্বর সংসদে উত্থাপিত হয়। পরে এ সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় বিশ্ববিদ্যালয়টি দক্ষিণ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ এলাকায় স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। এর প্রতিবাদে আজ সমাবেশ-মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হয়।