ইউজিসি’র তদন্ত প্রতিবেদন পক্ষপাতমূলক: রাবি উপাচার্য
- ২৫ অক্টোবর ২০২০, ১৫:১৬
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বলেছেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) আমার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে সেটি পক্ষপাতমূলক তদন্ত প্রতিবেদন।
রোববার (২৫ অক্টোবর) অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে তার অবস্থান পরিস্কার করতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘‘যেকোনো আমলযোগ্য অভিযোগের তদন্ত বাঞ্চনীয়। আমি তদন্তের বিপক্ষে নই। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ যথাযথ হলে তা তদন্তে আমার একশভাগ সম্মতি আছে। তবে সেই তদন্ত হতে হবে যথাযথ প্রক্রিয়া /আইনসিদ্ধভাবে গঠিত পক্ষপাতহীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে। এবিষয়ে আমি স্পষ্টভাবে ০৯.০৯.২০২০ তারিখে বিমক-এর মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়কে পত্র দিয়ে জানিয়েছিলাম।’'
রাবি উপাচার্য বলেন, ‘‘আমি আশা করেছিলাম সেই পত্র বিবেচনায় নিয়ে চেয়ারম্যান মহোদয় পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। বরং আমি মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি ইতোমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। বলাবাহুল্য প্রতিবেদনটি তাই একপেশে এবং পক্ষপাতমূলক। সুতরাং আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি এবং এ বিষয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’’
এছাড়া ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনে মেয়ে জামাইকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তন করার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ৪৭২ তম সিন্ডিকেট সভার ৪৩ নং সিদ্ধান্তে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহার নেতৃত্বে সিন্ডিকেট সদস্য, ডীন ও শিক্ষক সমিতির সভাপতিরসহ ০৭ জনকে নিয়ে সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক নিয়োগ নীতিমালা পুন:প্রণয়নকল্পে একটি কমিটি গঠন করা হয়। চার মাস পর কমিটির সুপারিশে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা পুন:প্রণয়ন করা হয়। এই নীতিমালায় অনেক বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। তবে মেয়ে জামাই, আত্মীয়কে নিয়োগ পাওয়ার পরই অভিযোগ তোলা হয়েছে মেয়ে জামাইকে নিয়োগ দেওয়ার জন্যই নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তন করা হয়।
উপাচার্য বলেন, অশুভ রাজনীতিতে জড়িয়ে গেছে এমন একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো এনেছে। সংবাদপত্রের প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্যে জানতে পেরেছি আমার অর্থের অনুসন্ধান করা হবে। বাংলাদেশের যেকোনো সংস্থা আমার অর্থের অনুসন্ধান করতে পারে। সেই সৎসাহস আমার আছে।
এদিকে নিজে থেকেই পদত্যাগ করবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সরে যাওয়াটা অপ্রাসঙ্গিক বলে উত্তর করেন উপাচার্য। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা আসলে তিনি তো আর উপাচার্য পদে থাকতে পারবেন না এমন মন্তব্য করেন।