স্থায়ী বহিষ্কার হতে পারেন জবি ছাত্রী তিথী

তিথী সরকার
তিথী সরকার

ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) থেকে স্থায়ী বহিষ্কার হতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী তিথী সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় খুললে পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় প্রক্টর মোস্তফা কামাল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে আরও বলেন, ওই শিক্ষার্থীর বেশ কয়েকটা স্ক্রিনশর্ট আমরা পেয়েছি। সেগুলো পর্যালোচনা করছি। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তার বিরুদ্ধে এখনো কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বিষয়টি আমাদের নজরে আছে।

এদিন বাদ জোহর ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে তিথী সরকারের আজীবন বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, কোন ধর্মের বিরুদ্ধে অবমাননা সহ্য করা হবে না। এই তিথী সরকার আমাদের ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করছে।মহনাবী (সা.)-এর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছে। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

পড়ুন: ধর্ম নিয়ে কটূক্তি, যবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল

এদিকে তিথী সরকারের এ সকল কর্মকান্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। একইসঙ্গে তাকে কেন স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করা হবে না জানতে চেয়ে সাতদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।

সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু বকর খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা কিছুদিন ধরেই বিষয়গুলো লক্ষ্য করেছি। অভিযোগ পাওয়ার পরে আমরা তাকে কয়েকবার বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। পরে আমরা তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিথীর বিষয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন শুক্রবার রাতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, একটি সংগঠন বড় হলে সেখানে বিভিন্ন মাইন্ডের লোকজন থাকবে। এটা স্বাভাবিক। সবাইকে নিয়েই একটা সংগঠন। তবে একজন ব্যক্তি হিসাবে এখানে কেউ কারো ধর্ম পালনে বা ধর্মীয় অনূভুতি আঘাত দিয়ে কথা বলতে পারে না। এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি বলেন, এটা আমাদের নজরে আছে। বিষয়টি আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীলরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংগঠন থেকেও স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।