স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার কোনও সুযোগ নাই: জাফরুল্লাহ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমানে গার্মেন্টস চলছে, অফিস আদালত চলছে। সব দেখে বোঝার কোনও কায়দা নেই এখানে করোনার প্রভাব আছে। তাই স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার কোনও সুযোগ নাই। এটা আমার জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার একটা অজুহাত। 

আজ শনিবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এডুকেশন রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ আয়োজিত ‘করোনাকালীন পরীক্ষায় অটো পাস: শিক্ষার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

জাফরুল্লাহ বলেন, আমরা একটা কল্যাণকর বাংলাদেশ চাচ্ছি, যেখানে পরীক্ষা দিয়েই সবকিছুতে উত্তীর্ণ হতে হবে। আগের দিনের রাজনৈতিক কর্মীরা পরীক্ষা দিয়েই ধাপে ধাপে ওপরে আসতেন। এখন তো তা না, তাদেরকে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই পরিবর্তন না হলে কিছু হবে না। এই পরিবর্তন করা আমি মনে করি খুব কঠিন কাজ না।

তিনি আরও বলেন, আজকে যদি একটা সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক সরকার থাকতো, তাহলে মাথা উঁচু করে বলতে পারি আগামী ১৫ দিনে ওষুধের মূল্য অর্ধেক হয়ে যাবে। স্বাস্থ্য খাতের সকল খরচ অর্ধেক হয়ে যাবে। ব্যবসায়ীদের পর্যাপ্ত লাভ দিয়ে এটা করা সম্ভব। ডাকাতি করে নয়। বর্তমানে ব্যবসায়ীরা যেটা করছেন, সেটা ডাকাতি।

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. এহছানুল হক মিলন বলেন, কোনও অবস্থাতেই অটো পাস দিয়ে এই জাতিকে আর ধ্বংস করা যাবে না। সরকার অটো পাসে আসতে পারে, সংসদ সদস্য অটো পাসে আসতে পারে। কিন্তু শিক্ষায় অটো পাস দেওয়া যাবে না। করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বময়। বিশ্বের অন্যান্য দেশে কিভাবে শিক্ষা নিয়ে কাজ করেছে, সেগুলো আমরা অনুসরণ করলে পারতাম। কিন্তু আমরা তা করিনি। জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার অধিকার এই সরকারের নেই। এজন্যই বলব অবৈধ সরকারের অবৈধ সিদ্ধান্ত এ জাতি মানে না, মানবে না।

গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।