বনানীতে স্ত্রীর পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত ব্যারিস্টার রফিক-উল হক

দাফন
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক

দেশের প্রবীণ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মরদেহ রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। শনিবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ব্যারিস্টার রফিক উল হকের তৃতীয় ও শেষ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে তাকে বনানী কবরস্থানে তার স্ত্রী ডা. ফরিদা হকের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।

এর আগে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আজ শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ব্যারিস্টার রফিকের। সেখানে জানাজা পড়ান আদ-দ্বীন হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ সাইদুল ইসলাম। জানাজা শেষে পল্টনে অবস্থিত নিজ বাসায় নেওয়া হয় এ আইনজীবীর মরদেহ। পল্টনের বাড়িতে বেশ কিছুক্ষণ রাখা হয় ব্যারিস্টার রফিকের মরদেহ। এর পর দ্বিতীয় জানাজার জন্য নেওয়া হয় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।

যুক্তরাজ্য থেকে ব্যারিস্টারি পাসের পর ১৯৬৫ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন ব্যারিস্টার রফিক। সেদিনের পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টই আজকের বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।

দেশের প্রথিতযশা আইনজীবী এবং আদ-দ্বীন হাসপাতালের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার রফিক-উল হক অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় তাঁকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর কিছুটা সুস্থবোধ করলে গত ১৭ অক্টোবর সকালে পল্টনের বাসায় ফিরে যান তিনি। তবে ওই দিনই দুপুরের পর তাঁকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ১৮ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টার পর তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ১৯ অক্টোবর তাঁর করোনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তখন থেকে অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল এই প্রবীণ আইনজীবীর।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। ২০১৭ সালে বাম পায়ের হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর থেকে তাঁর চলাফেরা সীমিত হয়ে পড়ে। এ কারণে তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। ৮৫ বছর বয়সী খ্যাতিমান এই মানুষটি বিছানায় শুয়েই সময় পার করছিলেন।