‘চুরি–ডাকাতি করে নিজে লিখেছি ভাব দেখানো উচিত না’

চঞ্চল চৌধুরী
চঞ্চল চৌধুরী

জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনের গাওয়া একটি গান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ শিরোনামে গানটি দর্শপ্রিয়তা পেলেও সমালোচনাও হয়েছে বিভিন্ন মহলে। ‘সরলপুর’ নামের একটি ব্যান্ড গানটির কপিরাইট দাবি করার পরই শুরু হয় বিতর্ক। আপত্তির মুখে ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ভাইরাল গানটি।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমে নিজের বক্তব্য দিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘লোকগানের পদরচয়িতা কে বা কারা, তা জানা যায় না। লোকমুখে শুনতে শুনতে এ পর্যায়ে এসেছে। ঐতিহ্যবাহী পদগুলো সংস্কৃতির বিশাল শক্তি। এটাকে রক্ষা করতে হবে। চুরি–ডাকাতি করে নিজের দখলে নেওয়া, আমি করেছি কিংবা লিখেছি, এমন ভাব দেখানো উচিত না।’

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে সরলপুর ব্যান্ডের সদস্যরা স্বীকার করছে, গানের ৩০ ভাগ সংগৃহীত। আর তা হলে কপিরাইট হয় কীভাবে? তারা পরিষ্কার করে বলুক, কোন অংশ সংগৃহীত, আর কোন অংশ তাদের লেখা। আমার মনে হয়েছে, ৭০ ভাগই সংগৃহীত। বাকি ৩০ শতাংশ হয়তো তাদের লেখা। গাওয়ার জন্য গানটি এদিক–সেদিক করছে। তার মানে এই নয়, মালিকানা তাদের।’

বিষয়টি নিয়ে কষ্ট পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কাজ করছি। তারাও গান গায়; আমরাও টুকটাক গান করি। আলোচনার মাধ্যমে তাদের ক্রেডিট দিতে প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে, কিন্তু অসম্মতি জানিয়েছে তারা। এখন তো দেখছি, এই ক্রেডিট তাদের মোটেও প্রাপ্তি না। তারা ইউটিউব থেকে মুছে না দিয়ে আলোচনায় বসতে পারত।’

তিনি আরো বলেন, ‘চাইলেই মানুষ এ ধরনের পদ লিখতে পারে না! এই ধরনের পদ কারেকশন করে আমার বলা অন্যায়। এ রকম অসংখ্য গান, কবিতা ছোটবেলায় শুনেছি। কেউ যদি ব্যক্তিগত ফায়দার জন্য নিজের বলে চালায়, তাহলে খুবই দুঃখজনক। আইনগতভাবে যুবতী রাধে গানের কপিরাইট যেহেতু সরলপুরের, এ জন্য তাদের ইউটিউবে আপলোড করার সময় বিষয়টি উল্লেখ করা উচিত ছিল।’

কিন্তু তারা যা করেছে, তা আশা করেননি উল্লেখ করে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কেউ জানি না, গানের কপিরাইট অন্য কারও। সেজন্য তাদের কৃতজ্ঞতা দেওয়া হয়নি। আর জানবই কী করে, সরলপুর ব্যান্ড ইউটিউবের ক্রেডিট লাইনে কথা ও সুর নিয়ে কিছুই বলেনি।’