উদ্বিগ্ন মা-ছেলে বাড়িতে ফিরে পেলেন শিক্ষকের গলাকাটা মরদেহ

নড়াইলে শিক্ষকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ
নড়াইলে অরুণ রায় নামে এক শিক্ষকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

নড়াইল সদর উপজেলায় কলেজ শিক্ষক অরুণ রায়ে (৭৩) গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বেনাহাটি গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অরুণ রায় খুলনার বটিয়াঘাটায় কলেজে শিক্ষকতা করতেন। কয়েক বছর আগে অবসর গ্রহণ করেন তিনি।

নিহতের স্ত্রী নিভা রানী পাঠক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক। জানা গেছে, অরুণ রায় বেনাহাটি গ্রামে নিজ বাড়িতে একা থাকতেন। স্ত্রী চাকরির সুবাদে খুলনায় এবং ছেলে প্রকৌশলী ও মেয়ে চিকিৎসক হওয়ায় জেলার বাইরে অবস্থান করতেন। তারা ছুটিতে বাড়ি আসতেন।

পরিবার সূত্র জানায়, শুক্রবার অরুণ রায়ের কোনো সাড়া না পেয়ে বারবার ফোন করেন। কিন্তু রিসিভ না করায় তাদের মনে উদ্বেগের সৃষ্টি হলে সন্ধ্যায় নিভা রানী পাঠক ও তার ছেলে ইন্দ্রজিৎ রায় বাড়িতে আসেন। কলিং বেল চাপলেও সাড়া শব্দ না পেয়ে দোতলা ভবনের দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে অরুণের গলাকাটা মৃতদেহ দেখতে পান।

স্থানীয় এক শিক্ষক জানান, অরুণ রায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে চা পান করেছেন। তারা ধারণা করছেন, রাতে বা ভোরে দুর্বৃত্তরা দোতলায় উঠে তাকে জবাই করে হত্যা করেছে। তিনি ভদ্র প্রকৃতির মানুষ ছিলেন বলে জানান তারা। এছাড়া গ্রামে কারও সঙ্গে বিরোধ নেই বলে জানান স্থানীয়রা। তবে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল বলে সূত্র জানিয়েছে।

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘কী কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সে ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’