ঢাবিতেও গ্যাং কালচার, রয়েছে ছিনতাই-যৌন হয়রানির অভিযোগ

গ্যাং
বামে রবিন মাহমুদ, মাঝে পল্লব রানা পারভেজ ও ডানে উৎস সরকার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পল্লব রানা পারভেজ, রবিন মাহমুদ চলন্ত এবং ইতিহাস বিভাগের একই বর্ষের উৎস সরকারের বিরুদ্ধে তাদের বিভাগেরসহ বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, ধর্ষণের হুমকি, ফেসবুকে অকথ্য ভাষায় মেসেজ দেওয়া এবং রাজনৈতিক হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদের মধ্যে পল্লব রানা পারভেজ ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী এবং ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি, হয়রানি, ছিনতাই করে বলে অভিযোগ রয়েছে। ছিনতাইয়ের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক বছর বহিষ্কৃত করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী ছাত্রী আফসানা ইসলাম জুঁই জানান, পল্লব রানা পারভেজ (২১) ফেক ফেসবুক আইডি খুলে আমাকে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট করে। এমনকি ধর্ষণেরও হুমকি দেয়। আমার কাছে এখনো স্ক্রিনশট আছে। আমি দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

ঢাবির ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী উৎস সরকার। তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকির অভিযোগ করেন একই বর্ষের ছাত্রী সুমাইয়া জান্নাত সারা। গত বছরের জানুয়ারি মাসে প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার কারণে প্রকাশ্যে ধর্ষণের এ হুমকি দেয়া হয়েছে বলে জানান সারা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী বুধবার উৎস সরকারের বিরুদ্ধে বিভাগে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সারা বলেন, আমরা (ভুক্তভোগী) সকলে মিলে উৎস সরকার, পল্লব রানা পারভেজ ও তাদের যারা দোসর রয়েছে তাদের সকলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করবো এবং আইনী সহায়তাও নেব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চের নারী নিরাপত্তা টিমের স্বেচ্ছাসেবক রুবাইয়া আক্তার জানান, আমাদের কাছে পল্লব রানা পারভেজ, রবিন মাহমুদ চলন্ত এবং উৎস সরকারের বিরুদ্ধে পাঁচজন নারী শিক্ষার্থী ১১টি অভিযোগ দায়ের করেছে। আমরা এ নিয়ে সার্বিক আইনী সহায়তায় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কোন অভিযোগ দায়ের করা হবে কিনা জানতে চাইলে- রুবাইয়া আক্তার জানান, ভিক্টিমরা সবাই সম্মত হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা মঞ্চের সহযোগিতায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবো। অভিযোগের তদন্ত চলছে। আমরা যথাযথ প্রমাণসহ আইনি সহায়তা নেওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পল্লব রানা পারভেজ, রবিন মাহমুদ, উৎস সরকারের একটি গ্যাং রয়েছে। এই গ্যাংয়ের একটি ফেসবুক, মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে বলে জানা যায়। ঐ গ্রুপের নাম হচ্ছে ‘‘নিশাচর ২’’। এই গ্যাংয়ের আরেক সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। ভিক্টিমের নিরাপত্তা, সামাজিক স্ট্যাটাস বিবেচনা করে নাম/পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের বলে জানা গেছে।

গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর নাহিদুল ইসলাম ফাগুন, রবিন আহম্মেদ নামের দুই শিক্ষার্থীরকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে শাহবাগ থানায় গ্রেফতার করা হয়। এই মামলার চার্জশিটে পল্লব রানা পারভেজের নাম ও রয়েছে।

২০১৯ সালে সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে পল্লব রানা পারভেজের নেতৃত্বে একই বিভাগের আবির হোসেন, স্বাগতম বড়াই এই তিনজন মোবাইল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন। পরবর্তীতে তাদেরকে সিনিয়ররা পিটিয়ে মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। রাত দশটার পরে উবার ও পাঠাও এর কার ভাড়া করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় তার সহযোগীদের নিয়ে ঘুরতেন এবং এক পর্যায়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে চালকের কাছ থেকে টাকা, ফোন, মানিব্যাগও ছিনতাই করতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তাছাড়া চাঁনখারপুলের বিভিন্ন হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করে বিল পরিশোধ না করেই চলে আসা এবং মালিকরা বিল চাইলে রাজনৈতিক পরিচয় ও পেশিশক্তির ব্যবহার করে বিল পরিশোধ না করে চলে আসতে। ফুলার রোডে নিয়মিত ছিনতাই করার বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও যুগলদের র‌্যাগিংয়ের নামে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করা এবং তাদের থেকে ছিনতাইয়ের অভিযোগও রয়েছে।

এদিকে সাধারণ এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে পল্লব রানা পারভেজের বিরুদ্ধে হুমকি ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে অকথ্য ভাষায় অবমাননাকর কথা বলার অভিযোগ করেন একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী আনিকা বুশরা। এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫(ক) ধারা অনুযায়ী সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন-অর রশিদ জানান, আনিকা বুশরা নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী পল্লব রানা পারভেজের বিরুদ্ধে অনলাইনে হুমকি দেওয়ার কারণে জিডি করেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ নেব।

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পল্লব রানা পারভেজ ও রবিন মাহমুদের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চে সহায়তা চেয়ে ফেসবুক পোস্ট করেন লোকপ্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সোহেদা আক্তার।

তিনি তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, অনেক স্বপ্ন, আশা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই এই ঢাবির প্রতি অনীহা চলে আসে, ঢাবিতে না পড়লেই ভালো হতো এই মনোভাব মনের মধ্যে চলে আসে। কারণ ছিল কিছু নোংরা মানুষ যাদের জন্য প্রতিনিয়ত মেন্টালি ডিস্টার্ব থাকতাম।এমনকি ক্লাসে আসা কমিয়ে দিছি, খুব কম ক্লাস করতাম আমি। শুরুটা হয়েছিল ১ম বর্ষের কয়েক মাস পর থেকে। আমার ডিপার্টমেন্টের রবিন মাহমুদ নামের একটি ছেলে যে মেইনলি পরীক্ষার সাজেশনের হেল্প এর জন্য আমার সাথে কথা বলতো। সেই সূত্র ধরেই আমরা ফ্রেন্ড হই। তখন ক্লাসের অনেকেই বলেছিল ছেলেটা ভালো না, কথা বলিস না। ওদের কথার কিছুদিনের মধ্যেই রবিন প্রেমের প্রস্তাব দেয়, আমি না করে দিয়েছিলাম এবং ওইদিনের পর থেকে রবিনের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেই, ফেসবুকে ব্লক দেই। এখনো ব্লকলিস্টেই আছে। পল্লব রানা পারভেজ নিজ থেকে আমাকে নক করে বলতেছিলো রবিন নাকি তোমাকে প্রেমের প্রস্তাব করেছে? বলেছিলো রবিনের সাথে এই নিয়ে যা কথা হয়েছিল তুমি আমাকে প্রুফগুলো দাও আমি তার (রবিন) বন্ধু। তার (রবিন) বিচার আমি করবো। আমি দিয়েছি পল্লবকে, তখনও পল্লব সম্পর্কে আমার ধারণা ছিলোনা আসলে সে কতোটা লো মাইন্ডের ছেলে।

সে প্রুফগুলো নেওয়ার পর থেকে আমাকে ডিস্টার্ব করা শুরু করেছে, রবিনের সাথে রিলেশনশিপ করার জন্য আমাকে ফোর্স করতো ক্লাসে, বিভিন্ন নাম্বার থেকে কল করে করে একই কথা বলতো সাথে রবিন ও ফাইজলামি করতো। রবিন সবসময় আমার হল থেকে ভার্সিটি আসা যাওয়ার সময় পথ রোধ করে কথা বলতে চাইতো, হাতে কিছু থাকলে জোর করে নিয়ে ফেলতো। ক্লাসে আমার সামনে দাঁড়াই ফোনে পিক তুলতো আমার, গা ঘেঁষে চলাচল করতো। পল্লব রবিনের সাথে আমার নাম বলে বলে ক্লাসে চিল্লাচিল্লি করতো, হাসাহাসি করতো। ওদের এইসব ফাইজলামির জন্য ক্লাসে আসা কমিয়ে দিয়েছিলাম। বিষয়টা শেষ হইলেই পারতো, কিন্তু পল্লব রাতের ৩/৪/৫ টায় কল করে করে বাজে কথা বলতো, ম্যাসেঞ্জারে খারাপ ভয়েস রেকর্ড করে পাঠাতো আবার ডিলেট করে দিতো। ওর এইসব ভয়েস রেকর্ড শুনে বলেছিলাম ঢাবিতে পরেও মেন্টালিটি এতো লো কেন, শিক্ষিত বেয়াদব এইসব বলেছিলাম। তারপর থেকে শুরু হুমকি দেওয়া ওরে চিনিনা আমি, কতোটা খারাপ বুঝিয়ে দিবে, কিভাবে ক্লাসে আসি দেখে নিবে, ক্যারেক্টার নিয়ে বাজে বাজে কথা বলা শুরু করেছে। এইটাও বলেছে আমার মান সম্মান এমন ভাবে শেষ করবে ভার্সিটিতে আর আসার সুযোগ হবেনা। সে চাইলেই নাকি সব করতে পারে, রাজনীতি করে সে নাকি নেতা তার ফুল পাওয়ার আছে নাকি। বলেছিলাম রাজনীতি কর ভালো কথা কিন্তু রাজনীতির পাওয়ার দেখায় বিনা কারণে কেন মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করবি, তখন বলে তার ইগোতে লাগছে কথাগুলো। আমার বিএফকে নাকি মারবে , আমার ক্লাস করা অফ করবে। আমার বিএফ ঢাবিতে পড়েনা বলে সবসময় সবার সামনে এইটা বলে হাসাহাসি করতো, আমাকে অপমান করতো।

তিনি তার পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, আমাদের ডিপার্টমেন্টের সবাই জানে পল্লব কেমন! কিন্তু কেউ তার ভয়ে কিছু বলেনা, বিভিন্ন গ্রুপে মেয়েদের পার্সোনাল বিষয় নিয়ে, ওদের মানসিক ভাবে হেনস্তা করে। কিন্তু কেউ সাহস করে কিছু বলেনা। কারণ হুমকি দেয় সরাসরি। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা মঞ্চের কাছে এই বিষয়টাই বলতে চাই, অনেক মেয়েদের খারাপ ভাবে ডিস্টার্ব করে ওর ভয়ে সাহস করেনা কেউ মুখ খুলতে। উপযুক্ত একটা সমাধান চাই। ঢাবির শিক্ষার্থী হয়ে একজন ক্লাসমেটের কাছ থেকে হুমকি নিয়ে থাকতে হচ্ছে, ক্লাসে আসার অনীহা সৃষ্টি হচ্ছে, ক্লাসমেটের কারণে ভাবতেই লজ্জা হচ্ছে। এখন আবার চিন্তায় থাকতে হচ্ছে কখন আবার আমার ক্ষতি করে বসে, আমার চরিত্র নিয়ে বাজে কথা বলে, মানুষের সামনে খারাপ প্রমাণ করে। এইটাই তো হচ্ছে। কোনো মেয়ে বিচার চাইলে উল্টো তাকেই চরিত্রহীন বানাই দেয়। আমি একজন ঢাবির শিক্ষার্থী হয়ে নিরাপত্তা মঞ্চের কাছে সুষ্ঠু একটা সমাধান চাই, যেন তার কথা সত্যি না হয়ে যায় যে সে রাজনীতি করে, কেউ কিছু করতে পারবে না। আর আমার চরিত্র নিয়ে বাজে কথা বলার সুযোগ যেনো না পায়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে পল্লব রানা পারভেজ বলেন, আমাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য বিশেষ একটি কুচক্রী মহল আমার পিছনে লগেছে। জুঁই নামের যে সহপাঠী আমার নামে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। এই অভিযোগ ইতিপূর্বে বিভাগের সাদিক স্যারকে জুঁই অবগত করেছিলো। কিন্তু সত্যতা প্রমাণ করতে পারেনি। ফেক আইডি খুলে যদি আমি আমাকে হ্যারেজমেন্ট করতাম তাহলে নিজের ছবি কেন ব্যবহার করবো?

তিনি আরও বলেন, বিভাগের গ্রুপিং এর জের ধরে জুঁই এবং সোহেদা যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমার বিভাগের এক বড় আপু আনিকা আপু ওনি যে অভিযোগ করেছে সেই অভিযোগে কোথাও প্রমাণ হয়না। আমি তাকে হ্যারেজমেন্ট করেছি। সোহেদার সাথে যে স্কিনশর্টগুলো ভাইরাল করা হয়েছে সেখানে সে প্রমাণ করতে পারবে না আমি তাকে হ্যারেজমেন্ট করেছি। আমার মেসেজ সে স্ব-ইচ্ছায় রিমুভ করে আনিকা আপুর কুপরামর্শে সে এটা করেছে।

বিভাগেরঅভ্যন্তরীণ কোন্দলকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলে জানান পল্লব।

এদিকে, রবিন মাহমুদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আর উৎস সরকারকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, এখনো পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে যৌন হয়রানি, ধর্ষণের হুমকির বিষয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে বলে জেনেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী আমাদের এই বিষয়ে অবহিত করলে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে আইনি সহায়তা করবো।

আইনি কার্যক্রম কতটুকু চলমান জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের সদ্য সাবেক জিএস জানান, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের যে কোন ধরনের আইনী সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।