জবির সেমিস্টার ফি মওকুফের দাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফি মওকুফের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিশু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে এই দাবি জানান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক করোনা সংকট মোকাবিলায় অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খুবই দুঃখজনকভাবে এরই মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ থেকে নতুন সেমিস্টারে ভর্তির নোটিশ দেয়া হচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এই সংকট মূহুর্তে শিক্ষার্থীদের পক্ষে এই বাড়তি ব্যয় বহন করা প্রায় অসম্ভব। তাই বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে চলমান সেমিষ্টারের ভর্তি ফি মওকুফের দাবি জানাচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক শিক্ষার্থীদের দেয়া নানান আশ্বাসের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদ শুরু থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে অধিকার আদায়ে সোচ্চার। করোনার এই মহামারীতে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক পূরণের আশ্বাস দেয়া হয়েছে, কিন্তু এখনো বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া প্রতিশ্রুতি গুলোর মধ্যে, ‘ইন্সট্রুমেন্টাল এক্সেস এ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ার পর দুইটি পিসিআর মেশিন স্থাপন ও গত জুলাই মাস হতে করোনাভাইরাস টেস্ট করার, নতুন অত্যাধুনিক মেডিকেল সেন্টারের কাজ গত সেপ্টেম্বরের মাঝে শেষ শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আগেই স্বল্পমুল্যে ৩০ জিবি ইন্টারনেট ডাটা ও প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল দেয়া, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করে শিক্ষাবৃত্তি দেয়া, বাংলা বর্ষবরণ ও মুজিববর্ষ পালনে বেঁচে যাওয়া টাকা করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে খরচ করা, ইউজিসির নির্দেশনায় অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের ডিভাইস কেনার সফট লোন দেয়ার কথা উল্লেখ করে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবলোকন করেছে, কীভাবে করোনা সংকটকে পূঁজি করে একের পর এক আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে প্রশাসন প্রতারণা করেছে। বারবার এমন প্রতারণা শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না। দাবি বাস্তবায়ন না হলে অতীতের ন্যয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য পাওনা বুঝে নেবে বলে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।