প্যারিসে শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা, সন্ত্রাসী হামলা বলছেন প্রেসিডেন্ট

শিক্ষককে হত্যার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ
প্যারিসে শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ

ফ্রান্সে এক শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করার ঘটনাকে ‘ইসলামি সন্ত্রাসী হামলা’ বলে বর্ণনা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁখো। দেশটির রাজধানী প্যারিসের উত্তর-পশ্চিমের শহরতলীতে শুক্রবারের এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশের গুলিতে নিহত হন হামলাকারী। নিহত ব্যক্তি তার ছাত্রদের ইসলামের নবী সম্পর্কে বিতর্কিত কার্টুন দেখিয়েছিলেন বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছেন।

একটি স্কুলের সামনে স্থানীয় সময় বিকাল ৫টার দিকে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাযর তদন্ত করছে সন্ত্রাস বিরোধী পুলিশ বিভাগ। ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁখো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন, ওই শিক্ষককে হত্যা করা হয়েছে, কারণ তিনি ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’র শিক্ষা দিচ্ছিলেন। নিহত ব্যক্তির নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

হামলার ঘটনার পরপরই হামলাকারীকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করার সময় পুলিশের গুলিতে মারা যায়। হামলাকারী সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য জানায়নি পুলিশ। তিন সপ্তাহ আগে ফরাসী ব্যাঙ্গ রসাত্মক ম্যাগাজিন শার্লি হেবদোর পুরনো অফিসের সামনে দুই ব্যক্তির ওপর হামলা চালিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটে। ২০১৫ সালে শার্লি হেবদোর ওই অফিসে জঙ্গি হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়, সে ঘটনার বিচারকাজ এখনো চলছে।

বিবিসি জানিয়েছে, কনফা-সাঁত-ওনোরিন এলাকায় বড় আকারের একটি ছুরি হাতে নিহত ব্যক্তির ওপর হামলা চালিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যা করে হামলাকারী। এরপর আক্রমণকারী পালানোর চেষ্টা করলেও স্থানীয়রা পুলিশকে জানালে তারা দ্রত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ সদস্যরা হামলাকারীকে আটকাতে সক্ষম হয়। সেসময় পুলিশ চিৎকার করে হামলাকারীকে আত্মসমর্পণ করতে বলে, কিন্তু হামলাকারী উল্টো পুলিশকে হুমকি দেয়।

তখন পুলিশ হামলাকারীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই সে মারা যায়। ফ্রান্সের পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে করা এক টুইটে স্থানীয়দের ওই অঞ্চল এড়িয়ে চলাচল করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

দেশটির শিক্ষামন্ত্রী জ্যঁ-মাইকেল ব্ল্যাঁকোয়ের টুইট করে বলেছেন, একজন শিক্ষকের ওপর হামলা পুরো ফরাসী প্রজাতন্ত্রের ওপর হামলার শামিল। নিহত ব্যক্তি ও তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের’ বিরুদ্ধে একমাত্র জবাব একতা ও দৃঢ়তা।