বিচারের আশ্বাস দিয়ে মাদরাসা ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ!

ধর্ষণ
অভিযুক্ত তিন আসামী

এক মাদরাসাছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা করেন নজরুল (২৫) নামে এক যুবক। এইঘটনার বিচারের আশ্বাসে ওই যুককের বড় ভাই বাদল (৩৭) তার সঙ্গী নিয়ে মুছাকে (২৪) নিয়ে ওই মাদরাসাছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।

গত ১২ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন জনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ধর্ষিতার অভিযোগের বরাত দিয়ে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ডহর মারুয়াদী এলাকার ওই ছাত্রী ১২ অক্টোবর বাড়ি থেকে মায়ের মোবাইল নিয়ে মাদরাসায় (আবাসিক) যায়। সন্ধ্যায় ছাত্রীটির মা মাদরাসায় গিয়ে খোঁজ নিলে মাদরাসার গেইটম্যান সামসুন্নাহার জানান, তার মেয়ে বাড়ি গিয়ে মাদরাসায় ফিরে আসেনি। পরে তাকে বিভিন্ন স্থনে খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যার পূর্বে সাগর নামে এক ব্যক্তি ওই ছাত্রীকে ফোনে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ব্রাহ্মন্দী হাসপাতাল সংলগ্ন স্থানে ডেকে নেয়। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর সেখানে সাগরকে খুঁজে পায়নি ওই ছাত্রী। তবে পূর্বপরিচিত নজরুলকে বসে থাকতে দেখে সে নজরুলের কাছে সাগরের ব্যাপারে জানতে চায়।

তখন নজরুল জানায়, সেই সাগর পরিচয়ে ফোনে কথা বলেছেন। এ সময় ছাত্রীটি ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার সময় নজরুল তাকে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে নজরুল। ছাত্রীটির চিৎকারে নজরুলের আপন ভাই বাদল (৩৭) এবং একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মুছা (২৪) এগিয়ে আসে। ঘটনা জেনে নজরুলকে গাল মন্দ করে ঘটনাস্থল থেকে তাড়িয়ে দেন বাদল। তারা এর বিচার করবেন এবং তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেবেন বলে ওই ছাত্রীকে রেখে দেয়। রাত ৮টার দিকে বাদল ও মুছা ওই ছাত্রীকে একই জঙ্গলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনার পর লজ্জায় এবং ভয়ে বাড়ি ফেরেনি মাদরাসাছাত্রী। তিনদিন পর ওই ছাত্রীকে একটি খাবার হোটেল থেকে উদ্ধার করে স্বজনরা। পরে মেয়ের মুখে ঘটনা শুনে মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

থানা ওসি আরো জানান, পুলিশ অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে। ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।