সশরীরে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শঙ্কা, অনলাইনের প্রস্তাব

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা

এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সরাসরি না নিয়ে জেএসসি, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ অবস্থায় করোনার কারণে এবারে সশরীরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যাবে কি না, সে বিষয়টি নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় ভর্তি পরীক্ষা সশরীরে না নিয়ে অনলাইনেই নেয়ার পক্ষে মত সংশ্লিষ্টদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ও অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে ইউজিসির এক ভার্চুয়াল সভা হয় অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলোর মতো অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও পরীক্ষা ছাড়াই কেবল এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করার বিষয়টি বিবেচনা করা যায় কি না বা অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যায় কি না- এ ধরনের বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে আগের মতোই পরীক্ষা ছাড়া কেবল এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একইভাবে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে বলে তিনি প্রস্তাব দেন। তবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

করোনাভাইরাসের মধ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে সশরীরে ভর্তি পরীক্ষা না নেয়ার পক্ষে মত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের।

ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয় নিয়ে উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পরীক্ষা না নিয়ে ভিন্ন পদ্ধতিতে ভর্তি করাতে অনেকে ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষা আয়োজন করাটা ঝুঁকিপূর্ণ বলেও অনেকে মন্তব্য করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। কীভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া যায় সে বিষয়ে সবার কাছে মতামত চাওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করতে প্রায় সবাই আপত্তি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সরাসরি পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব না হলেও কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। আগামীকাল শনিবার (১৭ অক্টোবর) পাবলিক উপাচার্য পরিষদের সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।