রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহর জন্মদিন আজ

রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহর জন্মদিন
মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

‘ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’ গানের স্রষ্টা তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ৬৪তম জন্মদিন আজ। অভিলাষী মনের কবি, আকাশের ঠিকানায় চিঠির প্রত্যাশী তিনি। কবিতা, গান আর জীবন যাপনের জন্য স্বল্প সময় পেয়েছিলেন তিনি। তাতেই রীতিমত ঝড় তুলেছেন। তিনি নেই অনেক দিন, তার সৃষ্টি দিনে দিনে আরো উজ্জ্বল হয়ে ধরা দিচ্ছে তরুণদের কাছে।

তিনি নেই অনেক অনেক দিন, কিন্তু কবিতাপ্রেমি তরুণদের কাছে দিনে দিনে আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠছেন। ১৯৫৬ সালে আজকের দিনে বরিশালে জন্মে ছিলেন রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ। কবিতা আর গানের কথা লিখে জায়গা করে নিয়েছেন ভক্ত হৃদয়ে। জয় করেছেন কালের সীমানা।

কলেজ জীবনেই সাহিত্যচর্চা আর লেখালেখির হাতেখড়ি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে রাজনীতি, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যিক আন্দোলণে নিজেকে ব্যস্ত রেখে অনিয়মিত ছিলেন একাডেমিক শিক্ষায়। ১৯৭৮ সালে ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। রুদ্রের প্রথম কাব্যগ্রন্থের ‘বাতাসে লাশের গন্ধ’ কবিতাটি এখনো পাঠকের মুখে মুখে ফেরে। আটটি কাব্য গ্রন্থ। তাতেই বাজিমাত।

কবিতার সঙ্গে ঘর করতে গিয়েই আরেক কবি তসলিমা নাসরিনের সঙ্গে পরিচয়-প্রনয়। বিয়ে করেও ৬ বছরেই টানেন সম্পর্কের ইতি। ভীষণ একাকিত্বের জীবন ছিল রুদ্রের। রোগে ভুগছিলেন ছিলেন। সুস্থ হয়েও হুট করে চলে যান না ফেরার দেশে। চলে যাওয়া মানে নয় বন্ধন ছিন্ন-করা আর্দ্র রজনী চলে গেলে আমারও অধিক কিছু থেকে যাবে আমার না-থাকা জুড়ে।

মাত্র ৩৫ বছরের (১৯৫৬-১৯৯১) স্বল্পায়ু জীবনে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং অর্ধশতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন। জনপ্রিয় গান ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্তপ্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর লেখা ও সুরারোপিত। পরবর্তীকালে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন।

জন্মদিনের আয়োজন

বাগেরহাটের মোংলায় নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে গানের স্রষ্টা তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ৬৪তম জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে। দিনটি স্মরণে আজ শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সকালে মোংলা উপজেলার মিঠাখালীতে কবির নিজ গ্রামে রুদ্র স্মৃতি সংসদ সকালে শোভাযাত্রা সহকারে তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

পরে অনুষ্ঠিত হয় দোয়া মাহফিল এবং বিকেলে মোংলা প্রেসক্লাবে স্মরণসভার আয়োজন করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, মোংলা শাখা। করোনাকালীন দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে এবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে সংসদ এ আয়োজন করেছে।