শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অপরাধে যাবজ্জীবন

শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অপরাধে যাবজ্জীবন
শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অপরাধে যাবজ্জীবন

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকাকে ধর্ষণের দায়ে রাশেদুল হাসান ওরফে রাজীব নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

ভুক্তভাগী কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষিক।

ধর্ষণের অপরাধ ছাড়াও ওই শিক্ষিকাকে অপহরণের অপরাধে তাঁকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।

কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালতের বিচারক মো. জাহিদুল কবির বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাশেদুল হাসান আদালতের উপস্থিত ছিলেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী সূত্রে জানা গেছে, বরুড়ার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তাঁর ভাইয়ের বাড়িতে থেকে বিদ্যালয়ে আসা–যাওয়া করতেন। এ সময় তাঁকে উত্ত্যক্ত করতেন কাকৈরতলা গ্রামের বখাটে রাশেদুল হাসান।

২০১৫ সালের ১৪ নভেম্বর ভোরে বখাটে রাশেদুল ওই সহকারী শিক্ষিকাকে ফোন করে জানান, তাঁর স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। এ খবর পেয়ে ওই শিক্ষিকা ঘর থেকে বেরিয়ে এলে বখাটে রাশেদুল তাঁকে অপহরণ করে মাইক্রোবাসে করে রাজধানী ঢাকার উত্তরায় একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।

এরপর এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের ভাই বরুড়া থানায় ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন। ২০১৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি এ মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরপর এ মামলায় আদালতে ছয়জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। যুক্তিতর্ক শেষে বৃহস্পতিবার আদালতের বিচারক এ রায় দেন।