একুশে বইমেলা নিয়ে প্রকাশকদের প্রস্তাবনা

বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি

২০২১ সালেল অমর একুশে বইমেলাকে সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। আজ রবিবার (১১ অক্টোবর) একাডেমির মহাপরিচালকের কাছে সমিতির পক্ষ থেকে রাজধানী শাখার সভাপতি মাজহারুল ইসলাম এবং সহ-সভাপতি শ্যামল চন্দ্র পাল প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরেন।

এসব প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সদস্য ব্যতীত অন্য কোনো প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়া (তবে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণের দায়িত্ব বাংলা একাডেমির); করোনার কারণে ন্যূনতম ভাড়ায় স্টল বরাদ্দ দেওয়া; স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ এবং ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ একুশের চেতনাকে বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য করে তুলতে প্রকৃত ও পেশাদার প্রকাশকদের স্টলগুলো নামমাত্র মূল্যে উপহার দেওয়া; করোনার স্বাস্থ্যঝুঁকি ও স্বাস্থ্যবিধির কারণে প্রতিটি স্টলের চারদিক উন্মুক্ত রাখা এবং প্রতিটি স্টল নির্দিষ্ট দূরত্বে স্থাপন করা।

এছাড়াও মেলার প্রবেশদ্বার দৃষ্টিনন্দন করা; স্বাস্থ্যবিধির বিষয় মাথায় রেখে প্রবেশদ্বারের সংখ্যা বৃদ্ধি করা; প্রবেশপথে আর্চওয়ের সঙ্গে ডিসইনফেকশন টানেলের মাধ্যমে মেলায় আগতদের স্প্রে করার ব্যবস্থা নেওয়া; মাস্ক ছাড়া দর্শনার্থীদের কোনোভাবেই মেলায় প্রবেশ করতে না দেওয়া; ধুলাজনিত কারণে স্বাস্থ্য সমস্যা যাতে বৃদ্ধি না পায় সেজন্য চলাচলের সব পথে ইট বিছানো; মেলা চলাকালে ধুলাবালি রোধে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি স্প্রে করার ব্যবস্থা নেওয়া; পুরো মেলা চত্বরে আলোর সরবরাহ বৃদ্ধি করা; প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের বই বা অন্যান্য সামগ্রী আনা-নেওয়ার জন্য প্রকাশক ও প্রকাশক প্রতিনিধিদের জন্য পৃথক গেটের ব্যবস্থা করা।

প্রস্তাবনায় আরো রয়েছে- প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধিদের বইমেলার জন্য নির্ধারিত কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে মেলা শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট পূর্বে মেলায় প্রবেশের ব্যবস্থা করা; মূল মেলা প্রাঙ্গণে অর্থাৎ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার মূল মঞ্চসহ অনুষ্ঠান মঞ্চগুলো স্থাপন করা; পাঠক-লেখক-প্রকাশকবান্ধব বইমেলা আয়োজনের জন্য মেলা কমিটিতে প্রকাশনা সংশ্লিষ্ট সংগঠন থেকে ন্যূনতম সাতজন করে প্রকাশক প্রতিনিধি রাখার ব্যবস্থা করা।

প্রস্তাবনাগুলোর বাস্তবায়ন হলে এই দুর্যোগকালেও আগামী বছরের বইমেলা অন্যান্যবারের মতো একটি সফল মেলার রূপ পাবে বলে মনে করছেন প্রকাশকরা। তারা জানান, বৈশ্বিক দৃষ্টান্ত, তাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, প্রবীণ ও নবীন প্রকাশকদের মতামত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমের লেখক-প্রকাশক-পাঠকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে উল্লেখিত প্রস্তাবনাগুলো উঠে এসেছে।