বরগুনা কারাগারে মিন্নিই একমাত্র নারী আসামি

আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি
আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি

বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ অপর ছয় আসামিকে জেলা কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। এই কনডেম সেলে রিফাত হত্যার ছয় আসামি ছাড়া অন্য কোনো বন্দিই নেই।

এছাড়া কারাবিধি অনুযায়ী ছয় বন্দিকেই কনডেম সেলে থালা, বাটি ও কম্বল দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রতি আসামিকে কারাগারের পক্ষ থেকে দুই সেট পোশাক দেওয়া হয়েছে বলেও জানান জেল কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. আনোয়ার হোসেন।

এ সময় জেল সুপার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এই মুহূর্তে বরগুনা জেলা কারাগারে নারী বন্দিদের মধ্যে একমাত্র মিন্নিই কনডেম সেলে আছেন। মিন্নি ব্যতীত বরগুনা কারাগারের কনডেম সেলে অন্য কোনও নারী বন্দি নেই। এছাড়াও রিফাত হত্যা মামলার অপর পাঁচ পুরুষ আসামিকেও কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। এই পাঁচ পুরুষ বন্দি ব্যতীত বরগুনার কারাগারের কনডেম সেলে আর অন্য কোনও পুরুষ বন্দিও নেই।

তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগারের যে বিশেষ কক্ষে রাখা হয় সেটাকে কনডেম সেল বলা হয়। কনডেম সেলের বন্দিরা কখনও সেল থেকে বাইরে বের হতে পারেন না। এসব বন্দি মাসে একবার তার স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। এছাড়াও সপ্তাহে একবার তারা ফোনে তাদের স্বজনদের সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কথা বলতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, মিন্নিকে আজ সকালে খাবার হিসেবে রুটি ও চিনি দেওয়া হয়েছিল। দুপুরের খাবারে ভাত, সবজি ও ডাল দেওয়া হয়েছে। রাতে গরুর মাংস, ভাত ও ডাল দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

এর আগে গত বছরের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে বন্ড বাহিনী কুপিয়ে হত্যা করে রিফাত শরীফকে। ওই হত্যাকাণ্ড সারা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। বন্ড বাহিনীর হোতা নয়ন বন্ড ও অন্যরা প্রকাশ্যে রাম দা দিয়ে শাহনেওয়াজ রিফাতকে (রিফাত শরীফ) কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় মিন্নিকে আসামিদের রামদার মাঝখানে দাঁড়িয়ে বারবার আটকানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন বিকেলেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন রিফাত শরীফ।

এদিকে গতকাল বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ছয় আসামির সবাইকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। এ হত্যার ঘটনায় পুলিশ ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিলেও তার মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিচার চলে এ আদালতে।