এমসি কলেজে ধর্ষণ: মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে ৬ সুপারিশ

এমসি কলেজে গৃহবধূ ধর্ষণ
এমসি কলেজের হোস্টেল

সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনার ক্ষেত্রে কলেজ প্রশাসনের তদারকিতে ঘাটতির প্রমাণ পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। এছাড়া অপর্যাপ্ত সীমানাপ্রাচীর ও জনবলের অভাবের কারণেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হয়নি।

বৃহস্পতিবার রাতে তদন্ত কমিটির প্রধান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজে ও প্রশাসন) প্রফেসর মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেন। ক্যাম্পাসকে নিরাপদ রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্যাম্প স্থাপনসহ ছয় দফা সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

সূত্র জানায়, কমিটি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় ঘাটতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণ ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছে। তবে কলেজ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সুপারিশ করেনি কমিটি। কমিটি বলছে, প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

তদন্ত কমিটি আরো যেসব সুপারিশ করেছে তার মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরো ক্যাম্পাসে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাতি স্থাপন ও জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতাদের সহযোগিতা ও সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়মিত পরিদর্শন করা।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। এরপর ওই তরুণীর স্বামী ৬ জনের নাম উল্লেখসহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন।