পুলিশের তদন্তে মামুন মৃত, ফিরে এলেন ৬ বছর পর

মামুন
মামুন

পুলিশের তদন্তে মামুনকে শ্বাসরোধে খুন করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ছয় বছর পর মামুন গত বুধবার ফিরে আসায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে মামুনকে অপহরণ ও খুন করার অভিযোগে গার্মেন্টসকর্মী তাসলিমাসহ তার পরিবারের সদস্যদের কারাভোগ করতে হয়েছে।

মামুন ২০১৪ সালে নিখোঁজ হওয়ার পর ২০১৬ সালের ৯ মে ছেলেকে অপহরণ করে হত্যার উদ্দেশে গুম করা হয়েছে অভিযোগ এনে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন তার বাবা আবুল কালাম।

ওই মামলায় আসামি করা হয় গার্মেন্টসকর্মী তাসলিমা, তার বাবা রহমত উল্লাহ, ভাই রফিক, খালাতো ভাই সাগর, সোহেল ও ছাত্তার মোল্লাকে। পুলিশ ছয় জনকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নেয়।

পরে রিমান্ড শেষে এক আসামিকে আদালতে পাঠানোর সময়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদনে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান উল্লেখ করেন, ‘তদন্তকালে জানা গেছে আসামিরা মামুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে শীতলক্ষ্যা নদীতে লাশ ফেলে দেয়।’

বুধবার সেই মামুনকে আদালতপাড়ায় দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ভুক্তভোগীরা। ভুক্তভোগী বলেন, ‘পুলিশকে হাজারোবার বলেছিলাম আমরা খুন করি নাই। তারপরও আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছিলো মামুনের পরিবার।‘

তিনি বলেন, ‘আমার জেল খাটছি। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। আর মিথ্যা মামলায় কেন আমাদের কারাগারে থাকতে হলো? এসবের ক্ষতিপূরণ চাই আমরা।’

এদিকে ছয় বছর পর ফিরে আসা মামুন বলেন, ‘আমাকে কেউ অপহরণ করেনি। আমি বাবা-মায়ের সাথে রাগ করে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম। এই ছয় বছরে পরিবারের কারও সাথেই আমার যোগাযোগ ছিলো না।  বিষয়টি জেনেই সুরাহার জন্য আমি আদালতে এসেছি।

আসামিপক্ষের আইনজীবী এমদাদ হোসেন সোহেল জানান, এখন মামুন ফিরে আসায় বিষয়টি একেবারেই পরিস্কার আসামিরা সম্পূর্ণ নির্দোষ। পুলিশ আর সিআইডি’র গাফিলতিতেই বিনা দোষে আসামি হয়ে কারাভোগ করতে হয়েছে তাসলিমা ও তার পরিবারের সদস্যদের। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।