ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: আসামিদের একজন এমসি কলেজের ছাত্র

অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী
অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী কলেজের শিক্ষাবিদ সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন

সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে ধর্ষণের মামলায় যাদের নাম এসেছে তাদের মাত্র একজন কলেজটির বর্তমান ছাত্র বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি।

কমিটির প্রধান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী কলেজের শিক্ষাবিদ সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

বুধবার বিকেলের ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে ধর্ষণের মামলায় যাদের নাম এসেছে তাদের মাত্র একজন কলেজটির বর্তমান ছাত্র। বাকি সবাই বহিরাগত।

তবে তিনি ওই ছাত্রের নাম বলেননি। সেটা তিনি প্রতিবেদনে উল্লেখ করবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।

শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেটের টিলাগড় এলাকায় এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে আসা নববধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ সারাদেশে আলোচনার জন্ম দেয়।

পরদিন গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে সিলেটের শাহপরান থানায় ছাত্রলীগকর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ঘটনা তদন্তের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে। কমিটির সদস্যরা মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। দুই দিন সিলেটে থেকে তারা বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলেন।

কমিটির প্রধান অধ্যাপক শাহেদুল বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের অবস্থান থেকে কাজ করছেন। কলেজ ব্যবস্থাপনায় কোনো ত্রুটি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। করোনাভাইরাস মহামারীর আগে ও পরে কলেজ ও ছাত্রাবাসের ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলাদা নির্দেশনা ছিল। এখানে কাদের কী দায়িত্ব ছিল, দায়িত্বে কোনো অবহেলা ছিল কিনা এসব নিয়ে আমরা সবার সঙ্গে কথা বলেছি। হোস্টেল কক্ষে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টিও আমরা অবগত হয়েছি।”

স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা এবং সেই গৃহবধূর সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করেন জানিয়ে তিনি বলেন, তদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পেশ করা হবে। আর এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন হবে।

তিনি বলেন, ১৪৪ একর জায়গার ওপর এমসি কলেজের ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার জন্য যা প্রয়োজন মনে হয়েছে, সেখানে গ্যাপ রয়েছে। হোস্টেল যেভাবে তৈরি সেখানে বহিরাগতরা অনায়াসে প্রবেশ করতে পারে। সেখানে আলোর সংকট, সীমানা প্রচীরের অভাব রয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারীর সময় কোনো অবস্থাতেই কলেজ ছাত্রাবাস খোলার নির্দেশনা নেই বলে তিনি জানান।