অধ্যাপক মোর্শেদের অব্যাহতির প্রতিবাদে বিএসপিপির মানববন্ধন

শিক্ষক ড. মোর্শেদ
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরি থেকে অব্যাহতির প্রতিবাদে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) মানববন্ধন করেছে।  মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তারা এ মানববন্ধন করে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঢাবি শিক্ষক মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরি থেকে অব্যাহতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। ঢাবির বর্তমান প্রশাসন প্রকৃতপক্ষে সরকারেরই একটি প্ল্যাটফর্ম। সুতরাং এই সরকারের কাছে সুবিচার পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই। তাই এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমে কঠোর আন্দোলন করতে হবে।

মানববন্ধনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ওয়াহিদুজ্জামান এপোলোকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়। সেই সাথে সিলেটের এমসি কলেজে ছাত্রলীগের হাতে তরুণী ধর্ষণের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন পেশাজীবীরা।

বিএসপিপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ডা. জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাবির সাবেক প্রো-ভিসি ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম।

মানববন্ধনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোর্শেদ হাসান খান চারটা ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছেন। মেট্রিক ও ইন্টারে বোর্ড স্ট্যান্ড করেছেন। তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে! এভাবে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে হয়রানি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।

তিনি বলেন, আইন ভঙ্গ করে যাদের চাকরি খেয়েছে তাদেরকে পুনর্বহাল করতে হবে। এখন না হলেও একদিন তাদের পুনর্বহাল হবেই ইনশাআল্লাহ।

নজরুল ইসলাম খান বলেন , দেশে নানামুখী সংকট চলছে। আমরা করোনার কারণে একটা মাস্ক পরি। কিন্তু সরকারের আরো মাস্ক পরা দরকার। তারা নানা ভাইরাসে আক্রান্ত। এধরনের ভাইরাস থেকে বাঁচতে সবার উচিত দুর্নীতি বিরোধী মাস্ক পরা।

বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে নারী নির্যাতন মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এটা এখন তিন নাম্বার ভাইরাস। এজন্যও তাদের মাস্ক পরা উচিত। তবে তারা বাঁচতে পারবেনা।

মানববন্ধনে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা এই সরকার তথা আওয়ামী লীগের সেবা আর চাইনা। কেননা  এই সরকারের হাতে কেউ নিরাপদ নন। আজকে দেশের কোথাও মা-বোনেরা নিরাপদ নন। এই সরকার নিজেরাই ইতিহাস বিকৃত করেছে। ড. মোর্শেদ প্রবন্ধ লিখেছেন। সেটা পছন্দ নাই হতে পারে। আপনারাও লিখেন। তাই বলে চাকরি খাবেন এই অধিকার কে দিয়েছে?

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, বিএনপির সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব মো. রফিকুল ইসলাম, সহ সিনিয়র পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধনে  অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, নূরুল আমিন, ইসরাফিল প্রামণিক, দাউদ খান, সাবেক ছাত্রনেতা শহীদুল্লাহ ইমরান, ইখতিয়ার রহমান কবির, স্বেচ্ছাসেবক দলের কাজী ইফতেখায়রুজ্জামান শিমুল, শামসুল আলম রানা, আবুল হাসান, বিএনপি নেত্রী জাহানারা বেগম, ঢাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান, ইডেন কলেজ ছাত্রদলের সানজিদা ইয়াসমিন তুলিসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।