আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নেয়া প্রতিযোগীরা

এবারের আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে (আইএমও) দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে। শুধু তাই নয়, এই আসর থেকে দলীয় সর্বোচ্চ নম্বর ও সব সদস্যের পদকও পেয়েছেন বাংলাদেশ থেকে অংশ নেয়া প্রতিযোগীরা।

রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত ৬১তম আইএমওতে বাংলাদেশ ১টি রুপার পদক ও ৫টি ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে। মোট ১১৮ নম্বর পেয়ে ১০৭টি দেশের মধ্যে ৩৮তম স্থান অধিকার করেছে বাংলাদেশ। রবিবার আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের ওয়েবসাইটে পুরস্কার বিজয়ীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

২১৫ নম্বর পেয়ে চীন প্রথম, ১৮৫ নম্বর পেয়ে রাশিয়া ফেডারেশন দ্বিতীয় ও ১৮৩ নম্বর পেয়ে যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় হয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে। অন্যদের মধ্যে শ্রীলঙ্কা ৬১তম, পাকিস্তান ৮২তম, মিয়ানমার ৯১তম ও নেপাল ১০২তম স্থান অধিকার করেছে। ভারত এবার অংশগ্রহণ করেনি। 

৪২ নম্বরের মধ্যে ২৯ নম্বর পেয়ে দেশের জন্য একমাত্র রুপার পদকটি পেয়েছে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী আহমেদ ইত্তিহাদ। মাত্র ২ নম্বরের জন্য সোনার পদক পায়নি সে।

বাংলাদেশ দলের অপর পাঁচ সদস্য এসওএস হারম্যান মেইনার কলেজের শিক্ষার্থী এম আহসান-আল-মাহীর (প্রাপ্ত নম্বর ২০), ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের মো. মারুফ হাসান রুবাব (১৯), কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের আদনান সাদিক (১৮), নটর ডেম কলেজের রাইয়্যান জামিল (১৬) ও ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী সৌমিত্র দাস (১৬) পেয়েছে ব্রোঞ্জপদক। দলের সব সদস্যের পদক অর্জন এবারই প্রথম।

করোনার কারণে শুরুতে এ বছরের আইএমও নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়। নির্ধারিত জুলাই মাসে এ আয়োজন স্থগিত করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে প্রতিযোগীরা নিজ নিজ দেশ থেকে অংশ নেবে এই নিয়মে এবং আয়োজন রাশিয়া থেকে অনলাইনে মনিটরিংয়ের মাধ্যমে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই হিসাবে ২০ সেপ্টেম্বর অনলাইন উদ্বোধনী আয়োজনের মাধ্যমে আইএমও শুরু হয়। ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা অনলাইনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

বাংলাদেশ গণিত দলের সাফল্যে দলের কোচ মাহবুব মজুমদার বলেন, দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তিতে আমি খুশি। মাঝখানে অনিশ্চয়তা না থাকলে হয়তো আমাদের শিক্ষার্থীরা আরও ভালো করত। সবার নিয়মিত চর্চা ও লেগে থাকা এই সাফল্য এনে দিয়েছে।