এইচএসসি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত ৩০ সেপ্টেম্বর

করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
এইচএসসি পরীক্ষার্থী

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। তবে বছরের শুরুর দিকে এইচএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে স্থগিত হয়ে যায়। করোনার কারণে এর আগে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা এবং জেএসসি-জেডিসি বাতিলের করা হয়েছে।

এদিকে দ্বিতীয় দফা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এতে করে শঙ্কা বেড়েছে শিক্ষার্থীদের। চলমান এই পরিস্থতির কারণে সম্ভবত পরীক্ষাবিহীন একটি বছর দেখতে যাচ্ছে দেশ। এর আগে দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত থাকা এইচএসসি পরীক্ষা আদৌ হবে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না সরকারের কর্মকর্তারা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সব দিক রক্ষা করেই প্রধানমন্ত্রী একটি সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা করছেন। তবে এই বিষয়টি নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা রয়েছেন উদ্বিগ্ন।

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের করোনার সার্বিক পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা দিতে পারেন। আর এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে করণীয় কী হতে পারে সে বিষয়েও শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণায় জানা যাবে।

এছাড়া আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের সভায় জানানো হয়, চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে পূর্বের মতো পাবলিক পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ নেই। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রতি বেঞ্চে একজন অথবা দুজন করে পরীক্ষার্থী বসানো হবে। পরীক্ষা কেন্দ্র স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে এ পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। এইচএসসি পরীক্ষা নিতে সব শিক্ষা বোর্ডগুলোকে প্রস্তত থাকতে বলা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, এইচএসসি এবং অন্যান্য পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে দুই মন্ত্রণালয় জোরালো চিন্তা-ভাবনা করলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো সময় আসেনি। এইচএসসি ও অন্যান্য পরীক্ষা সেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় তারা আলোচনা করছে। তারা দেখবে দেখে কুইকলি একটা সিদ্ধান্ত নেবে।