ঢাবি ছাত্রীর পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা ছাত্রলীগের

ধর্ষণের শিকার ঢাবি ছাত্রী
ছাত্রলীগের বিক্ষোভ ও ঢাবি ছাত্রী

ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সেই ছাত্রীর পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।

তিনি বলেন, নুর সব ডাকসু ভিপির মর্যাদা হানি করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ‌পতিতা আখ্যায়িত করেছে, এত সহজ? তিনি বলেন, ধর্ষকের কোনো দল নেই। এই কুলাঙ্গাররা যেই হোক, তার বিচার করতে হবে। এ সময় তিনি সেই ছাত্রীর নাম উল্লেখ করে ঘোষণা দেন, আপনার কোনো ভয় নেই, ছাত্রলীগ আপনার সাথে আছে।

নুরকে নাট্যকার ও নাটকবাজ আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের বিচার না পেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবে, তা হতে পারে না। এর বিচার হতে হবে।

ছাত্রলীগ সভাপতি আরো বলেন, তারা ধর্ষণও করবে, আবার আন্দোলনও করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ইতিহাস নেই। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে নুরের সহযোগীর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে হুশিয়ার উচ্চারন করেন। জয় বলেন, ‘‌নুরের চেলা’ আমার নেত্রী সম্পর্কে বক্তব্য দিয়েছে। আমি হেসেছি। ছাত্রলীগ কিন্তু কোনো অন্যায়কে প্রশ্ন দেবে না। সাবধান!

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, করোনাকালীন সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধা থাকায় সঙ্গত কারণেই এসব প্রতিষ্ঠানের হল এবং হোস্টেল খোলা থাকার কথা নয়। তা সত্ত্বেও এমসি কলেজে স্বামীকে বেধে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতরা কিভাবে কলেজের হোস্টেলে ছিলেন সেটা বোধগম্য নয়।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-এর সদ্য সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও তার অনুসারীদেরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও সিলেট এমসি কলেজের ঘটনার মিডিয়া কাভারেজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেছেন, সিলেট এমসি কলেজের ঘটনা পত্রিকার ‌লিড রিপোর্ট হবে, আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা নিম্নমানের কাভারেজ পাবে, তা কেন? গণমাধ্যমের কাছে অনুরোধ সব ঘটনা যেন সমান গুরুত্ব পায়।