বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ

‘রেজিস্ট্রারকে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া শিক্ষকদের জন্য অবমাননাকর’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
শেকৃবি রেজিস্ট্রারকে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্বিবদ্যালয়ের (শেকৃবি) রেজিস্ট্রারকে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব দেওয়াকে শিক্ষকদের জন্য অবমাননাকর বলে মনে করছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি। এতে উচ্চশিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. হাসিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. রকিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপি থেকে এ কথা বলা হয়।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, গত ২০ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের পরিপত্রে শেকৃবির রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিমকে উপাচার্যের চলতি দায়িত্বের আদেশ জারি করা হয়েছে। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে উপাচার্যের মতো মর্যাদাসম্পন্ন পদের দায়িত্ব দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক ধারণা, চেতনা এবং স্বায়ত্তশাসনের পরিপন্থী।

শিক্ষকরা বলেন, ইতোপূর্বে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদ শূন্য হয়ে গেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সংকটকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিনিয়র শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু শেকৃবির ক্ষেত্রে এটির ব্যতিক্রম ঘটায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সঠিক দিক-নির্দেশনা চেয়েছে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।

এছাড়াও দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের মতো গুরুত্বপূর্ণ শূন্য পদগুলোতে অতিসত্বর যোগ্য ও বিচক্ষণ ব্যক্তিবর্গদের নিয়োগ দিয়ে আসন্ন সংকট উত্তরণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি তৎপর হওয়ার অনুরোধ করেছে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।

প্রসঙ্গত, শেকৃবির রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিমকে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব দেওয়ায় ইতোমধ্যে শেকৃবি শিক্ষক সমিতি, বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি, বাকৃবি শিক্ষক সমিতিসহ অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন।