পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় ৯ বছরের স্কুলছাত্র গ্রেপ্তার

পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের মামলায় ৯ বছরের শিশুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রাম থেকে অভিযুক্ত ওই শিশুকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অভিযুক্ত শিশুটিকে গাইবান্ধা আমলি আদালতে হাজির করে সাঘাটা থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদালতের বিচারক কাজী ফখরুল ইসলাম শিশুটিকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারের মাধ্যমে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন। শিশুটি স্থানীয় আলোক বর্তিকা স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) পাশের বাড়ির পাঁচ বছরের এক শিশুকে জোড় করে একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে ৯ বছরের শিশুটি। এ সময় নির্যাতনের শিকার শিশুটির চিৎকারে ওই শিশুটি পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার সাক্ষী সাত বছর বয়সী দুই শিশু। ঘটনার পাঁচদিন পর বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নির্যাতনের শিকার শিশুটির বাবা বাদী হয়ে সাঘাটা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।

অভিযুক্ত শিশুর বড় ভাই বলেন, বিষয়টি সাজানো। সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে এ মামলা করা হয়েছে।

অভিযুক্ত শিশুর বাবা বলেন, পারিবারিকভাবে আমাদের হেনস্তা করতে মামলাটি করা হয়েছে। আমার ছেলে একটি শিশু মেয়েকে জোর করে ধর্ষণ করার উপযুক্ত বয়সে এখনও পৌঁছায়নি। আমি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মঞ্জুর মোর্শেদ বাবু বলেন, বিষয়টি সাজানো। ৯ বছরের একটি শিশুর শরীর ধর্ষণ করার জন্য কতটা উপযোগী এটা সবাই জানেন। এ ছাড়া ভিকটিমকে স্থানীয়ভাবে ডাক্তারি পরীক্ষা না করিয়ে রংপুরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টিও প্রশ্নবিদ্ধ।

সাঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বেলাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় সাঘাটা থানায় একটি মামলা করা হলে বিকেলে অভিযুক্ত শিশুটিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়।