ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ

কুমিল্লার দেবিদ্বারে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বুধবার রাতে ফয়েজ উল্লাহ নামে এক কলেজছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই মাদরাসা ছাত্রীর চাচা মো. সফিউল্লাহ দেবিদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করেন। পুলিশ ফয়েজ উল্লাহর মোবাইলে ধারণ করা ধর্ষণের ভিডিও ক্লিপটি উদ্ধার করে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আটক ফয়েজ উল্লাহ দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউপির তেবারিয়া গ্রামের মো. আবদুল আলিম মিয়ার ছেলে এবং দুয়ারিয়া এজি মডেল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।

মামলার বাদী সফিউল্লাহ জানান, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বড় ভাইয়ের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ফয়েজ উল্লাহ সম্পর্কে ভাতিজির চাচা হয়। ফয়েজ বিভিন্ন সময়ে ভাতিজিকে উত্যক্ত করত। গত ২২ মে দুপুরে ভাতিজি ফয়েজ উল্লাহর বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার পথে পেছন দিক থেকে এসে তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক তার ঘরের ভিতর নিয়ে ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে এ ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে রাখে।

ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে পরের দিন ২৩ মে দুপুরে একই স্থানে নিয়ে দ্বিতীয় দফা ধর্ষণ করে। লম্পট ফয়েজ আবারো একই ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণের প্রস্তাব দেয়। পরে বাধ্য হয়ে ওই ছাত্রী ঘটনাটি তার পরিবারকে জানালে ভুক্তভোগীর চাচা সফিউল্লাহ বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন।

দেবিদ্বার থানার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত ফয়েজ উল্লাহকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।