ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে এইচএসসি হলে মার্চেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু সম্ভব

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনার সংকট শুধু সমস্যা নয়, সম্ভাবনাও তৈরি করেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসে দক্ষ হচ্ছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার শিক্ষায় বাড়ছে। সরকার এখন শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

জাতীয় একটি দৈনিককে দেয়া একান্ত এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকার প্রতিবেদনটি বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে।

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কবে এমন প্রশ্নের জবাবে ওই সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী বলেন, এ বছরের এইচএসসি-সমমান পরীক্ষার্থী প্রায় ১৪ লাখ। পরীক্ষার আয়োজন করতে হলে পরীক্ষার্থী, শিক্ষক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্টাফ, শিক্ষা বোর্ড- সব মিলিয়ে আমরা হিসাব করে দেখেছি প্রায় ২৫ লাখ লোকের সমাগম হবে প্রতিদিন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গণপরিবহন ব্যবহার করবেন। এই বিপুল জনসমাগম করোনার সংক্রমণ বাড়িতে দিতে পারে। আমরা পরীক্ষার কেন্দ্রসংখ্যা বাড়িয়ে দিতে পারি, ফাঁকা ফাঁকা করে পরীক্ষার্থীদের বসাতে পারি। কিন্তু তারা তো গণপরিবহনে সেই ঠাসাঠাসি করেই আসবে। একজন পরীক্ষার্থীও যদি সংক্রমিত হয়, তার শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ মুহূর্তে পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। এটা সত্য। আবার এটাও সত্য, এ পরীক্ষার পর শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হতে হয়।

তিনি বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখেছি এইচএসসি পরীক্ষা, ফল প্রকাশ, ভর্তি পরীক্ষা সব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হতে হতে মার্চ মাস গড়িয়ে যায়। আমরা যদি এবারের এইচএসসি পরীক্ষা ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারিতে নিতে পারি, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে মার্চেই ক্লাস শুরু করা সম্ভব হবে। আর যদি শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রয়োজনে এ পরীক্ষা আরও দুই মাস পিছিয়ে যায়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিও দুই মাস পিছিয়ে শুরু হয়, তাহলেও যারা দেশে উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হবে, তাদের কোনো সমস্যা হবে না। উপাচার্যদের সঙ্গেও এটা নিয়ে কথা বলেছি। তারাও সম্মত আছেন।

কিন্তু সমস্যা হলো, যারা বিদেশে পড়তে যাবে তাদের নিয়ে। করোনার এই বৈশ্বিক সংকটে সবার সব সমস্যা আমরা একসঙ্গে সমাধান করতে পারব না। তবে এসব সমস্যার সমাধানে আমরা অনেক কিছুই ভাবছি। সবকিছুই আমাদের ভাবনায় আছে। সবকিছুই নির্ভর করবে পরিস্থিতির ওপর।