নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত হওয়ার বাঁধা কাটল

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ২০১৯ সালের দ্বিতীয় নিয়োগ চক্রে নিয়োগ পাওয়া নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিও ছাড়ের শর্ত শিথিল করেছে । আর এই শর্ত শিথিলের ফলে নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত হওয়ার বাঁধা কাটল।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে এনটিআরসিএ। আদেশে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতির সময় দেওয়া শর্ত অনুযায়ী নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকরা এমপিও সুবিধা পাবেন না বলে যে শর্ত দেয়া হয়েছিল সেটি শিথিল করা হলো। এই শর্তের কারণে নন-এমপিও শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না। অন্যদিকে নন-এমপিও পদে এনটিআরসিএ’র সুপারিশ করা শিক্ষকরাও বেতনভুক্ত হতে পারেননি। এই আদেশের ফলে তাদের এমপিওভুক্ত হতে আর কোনও বাধা থাকলো না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের দ্বিতীয় নিয়োগ চক্রের নন-এমপিও শিক্ষকদের নন-এমপিও-এমপিও পদে সুপারিশ করা প্রার্থীদের সুপারিশপত্রের ৪ নম্বর শর্ত ‘নন-এমপিও পদে সুপারিশকৃত প্রার্থীদের কখনও এমপিও সুবিধা পাওয়ার অধিকার জন্মাবে না’ এই মর্মে উল্লেখ রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছর অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট অধিদফতরগুলোর যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পদ নতুন করে এমপিওভুক্ত হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে উল্লেখিত ৪ নম্বর শর্ত শিথিলযোগ্য বিবেচিত হবে। প্রচলিত এমপিও নীতিমালার আলোকে তাদের ক্ষেত্রে এমপিওভুক্তির এ শর্ত প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে না।

কেবলমাত্র যেসব নন-এমপিও চাহিদা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নতুন এমপিওভুক্ত হয়েছে এবং এমপিও নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী ভবিষ্যতে এমপিওভুক্ত হবে এবং যেখানে এনটিআরসিএ নন-এমপিও পদে সুপারিশ করেছিল সেগুলোর ক্ষেত্রে শর্ত শিথিলযোগ্য বিবেচিত হবে।

এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর এনটিআরসিএ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় দ্বিতীয় নিয়োগ চক্রের যারা সুপারিশ প্রাপ্ত প্রার্থীরা নিয়োগ পেয়েও এমপিওভুক্ত হতে পারেননি কিংবা সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে পারেনি তাদের ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এনটিআরসিএ অফিসে আবেদন জানাতে হবে। এরপর আবেদন গ্রহণ করা হবে না।