ঢাবি অধ্যাপকের বরখাস্ত প্রত্যাহার চেয়ে শিক্ষক নেটওয়ার্কের বিবৃতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে ববরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ শিক্ষক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।

অধ্যাপক মোর্শেদের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার চাওয়া অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হলেন- অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান, অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, অধ্যাপক সৌভিক রেজা, অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীম উদ্দিন খান, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান, প্রভাষক দীপ্তি দত্ত, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, অধ্যাপক সহযোগী সামিনা লুৎফা, সহযোগী অধ্যাপক ড. আসিফ মোহাম্মদ শাহান, সহযোগী অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, সহযোগী অধ্যাপক নাসরিন খন্দকার, সহকারী অধ্যাপক আরিফুজ্জামান রাজীব, প্রফেসরিয়াল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট স্বপন আদনান, অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, সহকারী অধ্যাপক ফারহা তানজীম তিতিল, সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মাসউদ ইমরান মান্নু, সহযোগী অধ্যাপক সায়েমা খাতুন, অধ্যাপক নাসির আহমেদ, অধ্যাপক মানস চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক মোবাশ্বার হাসান, অধ্যাপক আর রাজী, প্রভাষক আল মামুন ও অধ্যাপক বখতিয়ার আহমেদ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসানের চাকরিচ্যুতি বিশ্ববিদ্যালয় আইনবহির্ভূত এবং এটি নিন্দনীয় ঘটনা। এটি শিক্ষকের ওপর সংঘটিত এক ধরনের অন্যায়, অবিচার এবং নিপীড়ন। যে প্রক্রিয়ায় এ কাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে সেটি বেশ প্রশ্নবিদ্ধ। তাছাড়া এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের একাডেমিক স্বাধীনতার ওপরেও বড় আঘাত।

এতে বলা হয়, দ্বিতীয় উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের এ বরখাস্তের ঘটনাটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। দেশজুড়ে ভিন্নমত ও সরকারের সমালোচনা নিয়ে যে তীব্র একটা অসহিষ্ণুতা তৈরি হয়েছে; এটি তারই এক সাম্প্রতিক উদাহরণ। আরেকটি বিষয়- যেটি আমাদের শঙ্কিত করছে, সেটি হচ্ছে- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এ নিপীড়নে সরকারি রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধীনস্ত ছাত্র সংগঠনের অগ্রণী ভূমিকা।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্লিপ্ততার কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের নিপীড়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারত। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অনেক বছর ধরেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিগুলো এক ধরনের ছায়া প্রশাসন হিসেবে কাজ করছে। শিক্ষকদের স্বার্থ দেখার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের স্বার্থ রক্ষাই প্রধান কাজ হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক মঙ্গলের জন্য আমরা এ অবস্থার দ্রুত অবসান চাই। সেটি শুরু হোক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসানের বিরুদ্ধে সংঘটিত এ অন্যায় সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের মাধ্যমে।