ভিসা জটিলতা

স্কলারশিপ পেয়েও হাঙ্গেরি যেতে পারছে না ১০০ বাংলাদেশী শিক্ষার্থী

শিক্ষা বৃত্তি পেয়েও ভিসা জটিলতায় হাঙ্গেরি যেতে পারছে না ১০০ বাংলাদেশী শিক্ষার্থী। এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছে বৃত্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীরা। ভিসা সমস্যার সমাধানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে ধর্না দিচ্ছেন তারা। যদিও মিলছে না ইতিবাচক সাড়া।

প্রতি বছর ১০০ বাংলাদেশী শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি দিয়ে নিয়ে যায় হাঙ্গেরি সরকার। এ বছরও হাঙ্গেরির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যয়নের জন্য ১০০ শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও হাঙ্গেরি সরকার। দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় এরই মধ্যে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়ে গেলেও ভিসাকেন্দ্রিক জটিলতায় বৃত্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের হাঙ্গেরি গমন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ভিসা সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হাঙ্গেরিতে বৃত্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীরা গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়, কভিড-১৯-এর কারণে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ। এ কারণে মনোনীতরা ভারতে অবস্থিত হাঙ্গেরি কনস্যুলেটে ভিসা আবেদন করতে পারেননি। হাঙ্গেরির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কয়েকটি প্রোগ্রামে অনলাইনে একাডেমিক কার্যক্রমের সুযোগ দিলেও বেশির ভাগ প্রোগ্রামেই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ফেস টু ফেস কার্যক্রমকে।

সেজন্য শিগগিরই শারীরিকভাবে উপস্থিত হতে না পারলে মনোনীত শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার দিক থেকে নানাবিধ সমস্যায় পড়তে পারেন। তাছাড়া অনলাইনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরাও আন্তর্জাতিক মানের পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সেখানে মূল্যায়নেও শিক্ষার্থীদের জন্য টিকে থাকা কঠিন হবে।

চিঠিতে আরো বলা হয়, হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ভারতে অবস্থিত হাঙ্গেরি কনস্যুলেটে ভিসা আবেদন শারীরিকভাবে দাখিল করার নির্দেশনা রয়েছে। কভিড-১৯-এর কারণে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। কিন্তু ভারতে অবস্থিত হাঙ্গেরি কনস্যুলেট তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা যদি অনলাইনে বা বাংলাদেশে অবস্থিত কোনো এজেন্টের মাধ্যমে ভিসা আবেদন জমা দিতে পারতেন, তাহলে তাদের অনিশ্চয়তাও কমত।

এছাড়া বাংলাদেশে অবস্থিত জার্মান দূতাবাস হাঙ্গেরির শর্ট স্টে ভিসা প্রসেস করলেও শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য দীর্ঘমেয়াদি ভিসা প্রসেস করে না। বর্তমান কভিড-১৯ ক্রান্তিকাল বিবেচনায় জার্মান দূতাবাস যদি শিক্ষার্থীদের ভিসা আবেদন গ্রহণ করত তাহলেও শিক্ষার্থীদের পক্ষে সহজে হাঙ্গেরির ভিসার জন্য আবেদন করা সম্ভব হতো। 

আবেদনকারী একজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছি। সহযোগিতা চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি, তারা এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন।