বৈরুতে বিস্ফোরণ: শুধু নিহত সন্তানের লাশটি চান মা

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর নিখোঁজ যুবক মোহাম্মদ রাশেদকে একটি হাসপাতালে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তিনি নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এমন ঘটনার পর নিহত রাশেদের পরিবারের এখন একটাই দাবি মৃতদেহ যেন দ্রুত দেশে আনা হয়। বাড়িতে কিছুতেই থামছে না রাশেদের মায়ের কান্না। তার এখন একটাই আকুতি ‘আমার বাবা ধনের লাশ যেন আমার বুকে ফিরিয়ে দেয় বাংলাদেশের সরকার’।

গতকাল রোববার (৯ আগস্ট) রাশেদের পরিচয় শনাক্ত হয় এবং বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। লেবাননের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, মৃত মোহাম্মদ রাশেদ নারায়ণগঞ্জ সদর উওপজেলার ফতুল্লা থানার নন্দলালপুর এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম হাফিজুর রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিহত রাশেদ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার নন্দলালপুর এলাকার হাফিজুর রহমানের ছেলে। রাশেদরা দুই ভাই, দুই বোন। ভাইদের মধ্যে রাশেদ বড়। তিনি ৬ বছর ধরে লেবাননে একটি হোটেলে চাকরি করতেন।

রাশেদের মা লুৎফুন্নেছা বলেন, এখন আমার তো চাওয়ার কিছু নাই। আমি চাই দ্রুত যেন আমার বাবাধনের লাশটি দেশে আসে। আমি শুধু বাবাধনের লাশটি চাই। আমার সন্তানকে যেন আমাদের কবরস্থানে দাফন করতে পারি।

দূতাবাসের হেড অব চ্যান্সেরি ও ফার্স্ট সেক্রেটারি আবদুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশি শ্রমিক মোহাম্মদ রাশেদ বিস্ফোরণের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন, তাকে হারুন হাসপাতালে শনিবার মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।