চলে গেলেন ঢাবি ক্যাম্পাসের প্রিয়মুখ ‘লোকমান ভাই’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দোকানদার ‘লোকমান ভাই’ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। করোনাকালীন বন্ধ ক্যাম্পাস খোলার আগেই চলে গেলেন।
ঢাবি ক্যাম্পাসের দোকানদার লোকমান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের প্রিয়মুখ দোকানদার ‘লোকমান ভাই’ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। করোনাকালীন বন্ধ ক্যাম্পাস খোলার আগেই চলে গেলেন। তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। বুধবার রাতে ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আল-আমিন আহমদ ফেসবুক স্ট্যাটাসে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, চলে গেলেন লোকমান ভাই। একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন এই লোকমান ভাইয়ের কাছে ঋণী আজকের কত বড় বড় নেতা, রাষ্ট্রের বড় বড় কত ক্যাডার। যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে গেলে কেউই এসব লোকমান ভাইদের খবর রাখেন না।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বলেছেন, বর্তমান বিজয় একাত্তর হলের সামনে লোকমান ভাইয়ের একটা দোকান ছিলো, উত্তর পাড়ার চারটা হল সহ ক্যাম্পাসের এমন কোন স্টুডেন্ট নাই যে লোকমান ভাইয়ের দোকানের খাবার খাননি।

সাবেক আরেক শিক্ষার্থী হাসান নিটল মন্তব্য করেন, আহা... লোকমান ভাই। কতো খেয়েছি উনার দোকানে, কতো আড্ডা দিয়েছি। উনার মৃত্যুর খবর শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেলো। দেখা হলেই একটা হাসি দিয়ে সালাম দিতো। অসংখ্য স্মৃতি জড়িয়ে আছে উনার দোকানকে ঘিরে।

উনার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে আরেক শিক্ষার্থী নুর মহিউদ্দীন মন্তব্য করেন, আমি এখন পর্যন্ত ঢাবির এমন অনেক লোকমান ভাইদের কথা শুনেছি। জানতে পেরেছি বিভিন্নভাবে অনেক বড় বড় নেতা/ক্যাডারদের পেছনে তাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অবদানের কথা যার কার্যকারিতা ছিল ব্যাপক। দুঃখজনক হলেও সত্যি এখনো শুনি নাই যে, ঢাবির বড় নেতা বা বড় অফিসারদের সৌজন্যে লোকমান ভাইদের মত কারও জীবন পরিবর্তন হয়েছে বড় পরিসরে। অথচ অনেকজনের সামান্য প্রচেষ্টা হয়তো লোকমান ভাইদের মত কারও কারও জীবন পাল্টে দিতে পারতো। আশা করি একটা সময় পর ঢাবির অনেক সফল ভাই -বোনেরা লোকমানদের জন্য বড় পরিসরে এগিয়ে আসবেন।