এমপিও নীতিমালা সংশোধনী চূড়ান্তকরণে সভা কাল

বেসরকারি স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোর কয়েকটি ধারা ও উপধারা সংশোধনী চূড়ান্তকরণের পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বুধবার। অনলাইনে ভার্চুয়ালি এ সভার আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন গণমাধ্যমে এ তথ্য জানান। এমপিও নীতিমালার সংশোধনী চূড়ান্তকরণে কয়েকদফা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই নীতিমালা চূড়ান্ত করনের কয়েক দফা সভা হয়েছে। নীতিমালা সংশোধনের যেসব দিক আগের সভাগুলোতে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়নি, সেগুলো নিয়ে ফের ২৯ জুলাই সভা অনুষ্ঠিত হবে।

গত বছরের শেষ দিকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মধ্য থেকে দাবি বিদ্যমান নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধনের উদ্যোগ নেয় সরকার। এ লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করে। কমিটি গত জুন মাসে নীতিমালা সংশোধনের সুপারিশ প্রতিবেদন তৈরি করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির কাছে জমা দেয়।

গত ১২ নভেম্বর বেসরকারি স্কুল ও কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধনে ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়। কমিটিতে নন-এমপিও শিক্ষক নেতারাও সদস্য হিসেবে ছিলেন। তবে, প্রথম দিনে তারা কিছু লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের পক্ষ থেকে ওটাই প্রথম ও শেষ ভূমিকা। এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সংস্কারের সুপারিশ করতে বলা হয়েছিল এ কমিটিকে। এরপর এ লক্ষ্যে পাঁচটি সভা করে কমিটি।

গত ১১ মার্চ এমপিও নীতিমালা কমিটির পঞ্চম সভা, ৭ জানুয়ারি চতুর্থ সভা, ২২ ডিসেম্বর তৃতীয় সভা, ১২ ডিসেম্বর দ্বিতীয় সভা এবং ৪ ডিসেম্বর এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধনে গঠিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাগুলোর আলোচনা নিয়েই এমপিও নীতিমালা সংশোধনের লিখিত সুপারিশ তৈরি করা হয়েছে।

মোমিনুর রশিদ আমিন আরও বলেন, নীতিমালা সংশোধন কমিটির সভায় যে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সেগুলোই সভায় উপস্থাপন করছি। নীতিমালা কোন কোন দিক থেকে পরিবর্তন হবে সে বিষয়ে এখনই স্পষ্ট কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা সুপারিশগুলো উপস্থাপন করছি। মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ স্থানীয়রা এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।