গানের মাঝে জীবনের অব্যক্ত কথা প্রকাশ পায়

করোনাকালীন সময়ে গৃহবন্দি জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে দর্শকদের মাঝে কিছুটা বিনোদনের খোড়াক নিয়ে আসছেন সঙ্গীত শিল্পী সোহাগ। সঙ্গীত জগতে যাত্রা ২০০২ সাল থেকে হলেও ২০১৫ সালের ‘রক্ত আলতা পায়’ অ্যালবামের ‘লাল শাড়ি পড়িয়া কন্যা’ গানের জন্য তার বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। ১৫ বছর পর এবারের ঈদে মুক্তি পাচ্ছে তার ‘লাল শাড়ি পড়িয়া কন্যা-২’। তরুণ সমাজের জনপ্রিয় এই সঙ্গীত শিল্পীর করোনাকালীন সময় যাপনসহ সঙ্গীত জগতের নানা বিষয় নিয়ে কথা হয় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাদিয়া তানজিলা

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: করোনা মহামারির এই দুর্যোগে কিভাবে কাটছে আপনার সময়?
সোহাগ: করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে বাসায়ই থাকা হচ্ছে বেশি সময়। তবে সামনে যেহেতু ঈদ তাই নতুন গান নিয়ে একটু ব্যস্ততায় সময় কাটছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: সঙ্গীত জগতের হাতে খড়ি কিভাবে ?
সোহাগ: আমার বাবার হাত ধরেই মূলত আমার সঙ্গীতে আসা। বাবাও একজন শিল্পী ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের। বাবার অনুপ্রেরণায় আমার গান শেখা। সব সময় চাইতাম বাবার মতো হব। সঙ্গীত জগতের হাতে খড়ি মূলত পরিবার থেকেই।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: সঙ্গীতকে কি পেশা হিসেবে নিয়েছেন নাকি শুধুই ভালোলাগা?
সোহাগ: শখ থেকেই গান গাওয়া শুরু কিন্তু বর্তমানে শখই পেশা হয়ে গেছে। ২০০২ সালে আমার গানের জগতে আসা। তখন প্রচারণা ব্যবস্থা আজকের মতো এত উন্নত ছিলনা। তখন থেকেই গান করা। এতদিন যাবৎ গানের জগতে আছি তাই পেশার মতোই হয়ে গেছে অনেকটা।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার গাওয়া গানের সংখ্যা কত?
সোহাগ: এ পর্যন্ত সাতশো’র মতো গান করা হয়েছে। আমার বেশকিছু গানের অ্যালবামও রয়েছে। এখনো বেশ কিছু গানের অ্যালবাম আমার ইউটিউব চ্যানেলেও আছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: লাল শাড়ি পড়িয়া কন্যা গানটি সম্পর্কে কিছু জানতে চাই?
সোহাগ: গানটি এভাবে এতো জনপ্রিয়তা পাবে বা দর্শকরা এভাবে গানটিকে নেবে ভাবিনি। ২০০৪ সালে গানটি রিলিজ হলেও প্রায় ২-৩ বছর গানটি ফ্লপ ছিল। আস্তে আস্তে গানটি সবাই শোনা শুরু করলো, তরুণদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করলো ‘লাল শাড়ি পড়িয়া কন্যা’। আমি দেশে এবং দেশের বাহিরে বিভিন্ন জায়গায় কনসার্ট করেছি, প্রায় সব কনসার্টের প্রথমেই লাল শাড়ি গানটির অনুরোধ থাকে। গানটি তৈরির সময় ভাবিনি দর্শকরা এতো ভালোবাসা দেবেন।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ঈদে নতুন কি গান আনছেন ভক্তদের জন্য?
সোহাগ: দর্শকদের মাঝে যেহেতু লাল শাড়ি পড়িয়া কন্যা গানটি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে তাই এইবার ঈদে লাল শাড়ি পড়িয়া কন্যা-২ নিয়ে আসছি। আশা করছি গানটা দর্শকদের ভালোলাগবে। ঈদের একদিন আগে গানটি রিলিজ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: সঙ্গীত নিয়ে আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?
সোহাগ: গানের মাঝেই আমার প্রাণ আমার ভালো লাগা, আমার পেশা। সবই। তাই ইচ্ছে আছে ভবিষ্যতে দর্শকদের আরো ভালো কিছু গান উপহার দেওয়া। তাদের ভালোবাসা আমার অনুপ্রেরণা যোগায়। তাই সব সময় চেষ্টা করি, দর্শকদের ভালো কিছু গান উপহার দিতে। ইনশাআল্লাহ্ খুব তাড়াতাড়ি দর্শকদের মাঝে নতুন মাত্রার কিছু গান নিয়ে আসবো ।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: করোনাকালীন সময়ে দর্শকদের জন্য কি বার্তা থাকবে?
সোহাগ: সারা বিশ্ব আজ থমকে আছে এই করোনাভাইরাসের জন্য। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, মৃতের সংখ্যাও কম নয়। তাই সকলের উদ্দেশ্যে বলবো, সবাই ঘরেই থাকুন। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাহিরে যাবেন না। ভিড় এড়িয়ে চলবেন। সবাই নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন, হাত পরিষ্কার করুন। বেশি বেশি বাংলা গান শুনুন। কারণ গানের মাঝে জীবনের সব অব্যক্ত কথা প্রকাশ পায়।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সোহাগ: দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকেও ধন্যবাদ।