করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় ১০ দফা প্রস্তাবনা ডাকসু ভিপির
- ৩০ নভেম্বর -০০০১, ০০:০০
চীনের উহান থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাসে টালমাটাল গোটা বিশ্ব। এ অবস্থায় কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে বাংলাদেশও। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় ১০ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর।
প্রস্তাবনায় সব শ্রেণিপেশার মানুষের সুরক্ষা, অসহায়দের খাদ্য সহায়তা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার কথা বলা হয়েছে। করোনার কারণে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সংক্রমণ মোকাবিলায় নুরুল হকের ১০ দফা প্রস্তাবনায় রয়েছে-
১. ডাক্তারসহ চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিতের পাশাপাশি তাদের থাকার জন্য হোটেল ও গেস্ট হাউজের ব্যবস্থা করা।
২. জেলা পর্যায়ে করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপন করা। প্রয়োজনে দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবগুলো ব্যবহার উপযোগী করে ফার্মেসী, বায়োটেকনোলজি মাইক্রোবায়োলজি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফলিত রসায়নের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এ কাজে সম্পৃক্ত করা।
৩. লকডাউন নিশ্চিতকরণে সেনাবাহিনীকে যথাযথ ক্ষমতা প্রদানসহ আইন শৃঙ্খলায় নিয়োজিতদের বাধাহীনভাবে কাজ করার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ সর্বোচ্চ সুরক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৪. দুই কোটি হতদরিদ্রসহ নিম্ন আয়ের মানুষ বিশেষ করে প্রান্তিক কৃষক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান, বাস-ট্রাক, টেম্পু চালকদের তালিকা করে মাসিক ভিত্তিতে অন্তত তিন মাসের খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা করা। একই সাথে অসহায় নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্যও খাদ্যসহায়তার ব্যবস্থা করা।
৫. বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবীদের সরকারি সমন্বয়ে অন্তত তিন মাসের বেতন নিশ্চিত করা।
৬. উপজেলা ও জেলা কৃষি কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য সরবরাহ ও বাজারজাত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। প্রয়োজনে সরকারিভাবে কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করে খাদ্য সহায়তাভুক্ত পরিবারকে প্রদান করা।
৭. দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রনে রাখতে চালকল ও বাজারের প্রতি বিশেষ নজরদারি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি অসাধু ব্যবসায়ী, কালোবাজারী ও ত্রাণচোরদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়া।
৮. গুজব ঠেকাতে এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতকরণে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকে নির্বিঘ্নে কাজ করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা। একইসাথে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে ধারাগুলো নিয়ে সম্পাদক পরিষদ আপত্তি তুলেছিল, তা বাতিল ঘোষণা করা।
৯. শিক্ষক, সাংবাদিক, মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে ‘ত্রাণ সহায়তা’ কমিটি গঠন করা।
এবং ১০. ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা এবং ত্রাণচুরির সংবাদ প্রকাশ ও প্রতিবাদকারীদের কোন ধরনের হয়রানি না করা।