নতুন দাবিতে আন্দোলনের ডাক কোটা আন্দোলনকারীদের

চাকরির আবেদন ফি ১০০ টাকার মধ্যে রাখা, জাতীয় নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন, বিভাগীয় শহরে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া, বিদেশী নাগরিকদের সংখ্যা কমিয়ে দেশীয় বেকারদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টি করাসহ নতুন করে আট দফা দাবিতে আন্দোলনে নামছে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গড়ে উঠা বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।

মঙ্গলবার সংগঠনটির আহবায়ক হাসান আল মামুন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চাকরির বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার নামে চলে চাকরিপ্রার্থীর টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রতিযোগিতা। সরকারি আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো ১০০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকার বিনিময়ে নিয়োগের সার্কুলার হরহামেশায় হচ্ছে। বছরের যখন খুশি সরকারের বিবিধ প্রতিষ্ঠান যে যেমন ভাবে পারছে প্যাকেজ সাজিয়ে উচ্চ আবেদন ফি যুক্ত করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিচ্ছে। এভাবে বেকারদের শোষণ করা রীতিমতো অনৈতিক এবং তাঁদের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে ব্যবসা করা অমানবিক। তাই ছাত্রসমাজের মতামতের ভিত্তিতে ছাত্রসমাজের ৮টি যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলনের ডাক দিচ্ছি।

নিয়োগ সংস্কারে ছাত্র অধিকার পরিষদের ৮ দফাগুলো হলো-

১। চাকরির আবেদন ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকার মধ্যে রাখতে হবে।
২। বিভাগীয় শহরে নিয়োগ পরীক্ষা নিতে হবে।
৩। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নাম্বার পৃথকভাবে প্রকাশ করতে হবে।
৪। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিতসহ সকল নিয়োগের জন্য পিএসসির আদলে জাতীয় নিয়োগ প্যানেল গঠন করতে হবে।
৫। জাতীয় নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
৬। তথ্য যাচাইয়ের নামে অযথা হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
৭। বেকারত্ব নিরসনে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।
৮। দেশে চাকরিরত বিদেশী নাগরিকদের সংখ্যা কমিয়ে দেশীয় বেকারদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে।