গার্লফ্রেন্ডকে দেখায় ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর, ক্যাম্পাসে উত্তেজনা

গার্লফ্রেন্ডের দিকে ‘তাকানো’ নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের এক জুনিয়র কর্মীকে মারধর করেছে আরেক উপগ্রুপ ভিএক্সের এক সিনিয়র কর্মী। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শহর থেকে ছেড়ে আসা রাত সাড়ে আটটার শাটল ট্রেনে ঘটনার সূত্রপাত হয়।

মারধরের শিকার কর্মীর নাম জাকির হোসেন। সে ফার্সি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিজয়ের কর্মী। অন্যদিকে মারধরকারী সালাউদ্দিন কাদের রনি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ভিএক্সের কর্মী।

জানা যায়, শাটলে সামনাসামনি সীটে আসছিলেন ওই দুই কর্মী। এসময় বিজয়ের কর্মী জাকির ভিএক্সের কর্মী রনির গার্লফ্রেন্ডের দিকে তাকালে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে শাটল থেকে নামলে বিজয়ের কর্মী জাকিরকে মারধর করে ভিএক্সের কর্মীরা। এ ঘটনার জের ধরে জিরো পয়েন্ট এলাকায় ভিএক্স গ্রুপের এক কর্মীকে মারধর করে বিজয়ের কর্মীরা।

তবে গার্লফ্রেন্ডের বিষয়টি অস্বীকার করেছে ভিএক্স গ্রুপ। তবে ভিএক্স বিষয়টি অস্বীকার করলেও গ্রুপটির বরাত দিয়ে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চবি পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আব্দুর রহিম।

এ নিয়ে সোহরাওয়ার্দী হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এবং দুগ্রুপের সাথে বসে সমঝোতা করে দেন।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে গার্লফ্রেন্ডের দিকে তাকানোর বিষয়টি অস্বীকার করেন ভিএক্স গ্রুপের নেতা মিজানুর রহমান বিপুল। তিনি বলেন, গার্লফ্রেন্ডের বিষয়টি মিথ্যা। শাটলে সিনিয়র জুনিয়র ভুল বুঝাবুঝি থেকে এটা হয়েছে। আমরা দুপক্ষের সিনিয়ররা বসে সমঝোতা করে নিয়েছি।

বিজয় গ্রুপের নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াস শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দোষারোপ করে বলেন, শাটল ট্রেনে সিনিয়র ও জুনিয়রদের মধ্যে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অযোগ্যতার কারণে ক্যাম্পাসে বারবার এমনটা হচ্ছে। আমরা দু গ্রুপের সিনিয়ররা বসে বিষয়টা সমঝোতা করে নিয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আহসানুল কবীর পলাশ বলেন, দুই পক্ষের সিনিয়রদের সাথে বসে আমরা সমঝোতা করে দিয়েছি৷