শিক্ষার্থীদের গোপনাঙ্গে লাথি মারল দিল্লি পুলিশ, ছেঁড়া হল হিজাব!

ভারতে চলমান নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চলা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের গোপনাঙ্গে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

শিক্ষার্থীরা জানান গত ১০ ফেব্রুয়ারি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসির বিরুদ্ধে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা প্রতিবাদ মিছিল করে সংসদ ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের পথ আটকে নির্যাতন চালায় পুলিশ। মিছিলে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের গোপনাঙ্গে লাথি দিল্লি পুলিশ, এমনকী ছিঁড়ে দেয় ছাত্রীদের হিজাবও।

এদিকে জামিয়ার পড়ুয়াদের এমন অভিযোগে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে রাজধানীতে। দিল্লি পুলিশ অবশ্য তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ‘প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে কোনও বল প্রয়োগ করা হয়নি’।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার সিএএ এবং সম্ভাব্য জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে সংসদের দিকে রওনা দেয় অসংখ্য বিক্ষোভকারী। সেই সময় তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ। সেই সময় কয়েকজন জামিয়া প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে দিল্লি পুলিশের কর্মীদের বাদানুবাদ থেকে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।

আহত ওই শিক্ষার্থীরা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই গণমাধ্যমের সামনে এমন বিষ্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তাঁদের প্রতিবাদ মিছিল রুখতেই ‘পরিকল্পিত’ ষড়যন্ত্র করে হামলা চালায় দিল্লি পুলিশ বলে অভিযোগ জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার শিক্ষার্থীদের।

যদিও পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির ডিসিপি আরপি মীনা। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বিরুদ্ধে চাপানো করা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। পুরো প্রতিবাদের ছবি আমাদের কাছে ভিডিওতে তোলা আছে। বরং আমাদেরই কয়েকজন পুরুষ পুলিশ কর্মী হেনস্থার শিকার হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন। প্রতিবাদীদের উপর কোনও বলপ্রয়োগ করা হয়নি’’।