ধর্ষণ প্রতিরোধে এবার আসছে ‘অ্যান্টি রেপ ডিভাইস’

ধর্ষণ প্রতিরোধে এবার আসছে অ্যান্টি রেপ এলার্ম। মেয়েদের বিশেষ ধরনের এই ডিভাইস দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

দেশব্যাপী নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। ২০১৯ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৯শ’ ২ জন শিশু। এর মধ্যে নিহত হয়েছে ২৬৬ জন। যা ২০১৮ সালের পরিসংখ্যানের তুলনায় তিনগুণ। আর গত বছর সারা দেশে নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক হাজার ৪শ’ ১৩ জন। যা ২০১৮ সালের তুলনায় দ্বিগুণ।

এই ধর্ষনের প্রতিকার চেয়ে শিশু ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড এবং অন্যান্য ধর্ষণের শাস্তি যাবজ্জীবন কেন দেয়া হবে না জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পাশাপাশি ডিএনএ ডাটাবেজ, সাক্ষি সুরক্ষা আইন এবং ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড বোর্ড গঠন কেন করা হবে না তাও জানতে চেয়েছে আদালত।

অন্যদিকে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে নারীদেরকে স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষামূলক যন্ত্র অ্যান্টি রেপ ডিভাইস সরববারহ করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। এটা এমন এক যন্ত্র যা এলার্ম হিসেবে কাজ করবে। এই যন্ত্রের স্েগ পুলিশের জরুরি নাম্বার নাইন নাইন নাইন যুক্ত থাকবে। যে কোন মেয়ে বিপদ বুঝলেই যন্ত্রে চাপ দিলে পুলিশের কন্ট্রোলরুমে এলার্ম বাজবে।

এছাড়া ধর্ষিতার ছবি প্রকাশের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে আরো সচেতন হতে বলেছে আদালত।