শিক্ষা ও গবেষণায় যৌথভাবে কাজ করবে যবিপ্রবি-বাকৃবি

শিক্ষা ও গবেষণায় যৌথ সহযোগিতা, ইন্টার্নশিপসহ বিভিন্ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। সম্প্রতি যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন এবং বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

সমঝোতা স্মারক সইয়ের পেছনে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন যবিপ্রবি ফিসারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আমিনুর রহমান। সমঝোতা স্মারকে সইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দীন খান, ফিসারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. সোলায়মান আলী ফকির, অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আহসান বিন হাবীব, যবিপ্রবির জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. কিশোর মজুমদার প্রমুখ।

সমঝোতা স্মারক সইয়ের ফলে যবিপ্রবির ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পিএইচডির শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুর, হ্যাচারি ও গবেষণাগারে যৌথভাবে গবেষণা করতে পারবেন। একইসঙ্গে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ অনুষদের শিক্ষার্থীরা যবিপ্রবির গবেষণা পুকুর, হ্যাচারি অ্যান্ড ওয়েট ল্যাব, জেনোম সেন্টার, অ্যানালিটিকাল ল্যাবরেটরিতে যৌথভাবে গবেষণা করতে পারবেন।

সমঝোতা স্মারক

সমঝোতা স্মারকে দুই প্রতিষ্ঠানের যৌথভাবে গবেষণা ও গবেষণাপত্র প্রকাশ এবং দীর্ঘ ও সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণসহ নানা বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে। সমঝোতা স্মারকের ফলে যবিপ্রবির স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণা সম্পন্ন করতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ অনুষদের শিক্ষকদের সুপারভাইজার এবং কো-সুপারভাইজার হিসেবে পাবেন। একইভাবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েরও স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণা সম্পন্ন করতে যবিপ্রবির ফিসারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের শিক্ষকদের সুপারভাইজার এবং কো-সুপারভাইজার হিসেবে পাবেন।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ অনুষদের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইয়ের ফলে যবিপ্রবির ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শিক্ষার অপার সুযোগ সৃষ্টি হলো। গত ১২ নভেম্বর থেকে দুই প্রতিষ্ঠানের জন্য এই সমঝোতা স্মারক কার্যকর হয়েছে। সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ শেষ হবে ১১ নভেম্বর ২০২৪ সালে।