পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া ফাতেমার ভর্তি অনিশ্চিত

ফাতেমা খাতুন

দেশের প্রথম সারি পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও অর্থের কাছে হেরে যেতে বসেছে ফাতেমার উচ্চশিক্ষা। কোথায় পাবেন অর্থ, কে দিবেন অর্থ? শেষ পর্যন্ত কি অর্থের কাছে হেরে যাবেন। এমন আশঙ্কায় দিন কাটছে নাটোরের লালপুর উপজেলার তিলকপুর গ্রামের চা বিক্রেতা ইউসুফ আলীর আদম্য মেধাবী কন্যা ফাতেমা খাতুনের।

ফাতেমার বাবা ইউসুফ আলী জানান, ৩ শতাংশ বাড়ির জমিটি ছাড়া আর কিছুই নেই। মেয়ে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলেও ভর্তি করানোর ও পড়ানোর টাকা নেই বলে জানান তিনি। ফাতেমার বড় বোন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান বিভাগের ৪র্থ বর্ষে অধ্যায়নরত। তার একার পক্ষে দুই বোনের লেখা পড়া করানো সম্ভব না।

জানা গেছে, ছোটবেলা থেকেই দুর্দান্ত মেধাবী ফাতেমা। পিএসসিতে জিপিএ-৫, জেএসসিতে জিপিএ-৫, এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও পরীক্ষার সময় অসুস্থ থাকায় এইচএসসিতে পান জিপিএ-৪.৯২।

এদিকে ফাতেমা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ক’ ইউনিটে মেধা তালিকায় ৭৪৭তম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ‘খ’ ইউনিটে মেধা তালিকায় ৩৩৪, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘খ’ ইউনিটে ১৮৩, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘খ’ ইউনিটে মেধা তালিকায় ১৪তম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গ’ ইউনিটে ৪৯৫তম হয়েছেন।

ভর্তি হতে প্রায় ১৫ হাজার টাকা লাগবে তিনি জেনেছেন। কিন্তু ভর্তির টাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ জোগানো তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই তিনি তাকিয়ে আছেন সমাজের বিবেকবানদের দিকে। একটু সহানুভূতিই তাকে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন সফল করে দিতে পারে। আগামী সপ্তাহে তার ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু তার এই স্বপ্ন পূরণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ।

পড়ুন: তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া শম্পার দায়িত্ব নিলেন সংসদ সদস্য

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সুযোগ পেয়েও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার উচ্চশিক্ষা। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে ফাতেমা বিসিএস ক্যাডার হতে চায়। আগামী ১০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির শেষ দিন। কিন্তু জীবনের শুরুতেই বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ। কোথায় পাবে টাকা, কে দিবেন টাকা? কে চালাবে পড়ার খরচ! এই চিন্তায় দিন কাটছে অদম্য মেধাবী ফাতেমার।

দিনমজুর বাবার পক্ষে এ টাকা জোগাড় করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। মেয়ের উচ্চশিক্ষার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন ইউসুফ আলী।