‘থানায় ওসিদের জমিদারি আচরণ মানায় না’
- ৩০ নভেম্বর -০০০১, ০০:০০
ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড। মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দি ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে এই দণ্ড দেয়া হয়েছে।
আইসিটি মামলায় ওসি মোয়াজ্জেমের আট বছরের কারাদণ্ড হওয়ার ঘটনায় বাদী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, আমি তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে পেরেছি। এটাই আমার সফলতা।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ৩টায় আদালত প্রাঙ্গনে তিনি বলেন, বাংলাদেশের থানাগুলোতে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা নিজেদের জমিদার মনে করেন, জমিদারের মতো আচরণ করেন, তাদের জন্য এই রায় অশনিসংকেত।
রায়কে মাইলফলক আখ্যায়িত করে তিনি আরও বলেন, ওসিদের কাছ থেকে জমিদারের মতো আচরণ মানায় না। ‘রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, ওসি মোয়াজ্জেম তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। যে কারণে তাকে এই মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয়েছে।’
তিনটি ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। একটিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি বলে জানান ব্যারিস্টার সুমন। তিনি বলেন, তবে রায় বিশ্লেষণ করে এ বিষয়ে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
একইসঙ্গে তাকে ১৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে ওসি মোয়াজ্জেমকে। জরিমানার এই টাকা নুসরাতের পরিবারকে দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-শামস জগলুল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। এটি বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া কোনো মামলার প্রথম রায়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-শামছ জগলুল হোসেন এজলাসে আসন গ্রহণ করেন। দুপুর ২টা ১৭ মিনিটে ওসি মোয়াজ্জেমকে কাঠগড়ায় তোলা হয়। এরপর রায় পড়া শুরু করেন আদালত। মামলার বাদি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।